বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরে ছাত্রলীগ নেতা ইনজামামুল হক অপু (৩০) ও মাহফুজুর রহমান অর্পন (৩০) নামে ২ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১০ মুন্সিগঞ্জ শ্রীনগর ক্যাম্প।

ওই সময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ৪ হাজার ৭ শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বৃহস্পতিবার ( ৫ অক্টোবর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫ টায় বন্দর উপজেলার ঢাকা টু চট্রগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর বাস স্ট্যান্ডস্থ ভোজন বিলাস রেস্টুরেন্টে এন্ড পাটি সেন্টারের সামনের পাকা রাস্তার উপর হতে ইয়াবাসহ এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইয়াবা উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্বদানকারী সার্জেন্ট মোঃ মাহাবুবুর রহমান (সেনা) বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করেছে। যার মামলা নং- ৭(১০)২৩,তাং-০৫-১০-২০২৩ ইং।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, র‍্যাব-১০, সিপিসি-২, শ্রীনগর ক্যাম্প, মুন্সিগঞ্জ পিসিসি নং- ৯২২/২৩, তারিখ ০৪/১০/২০২৩ ইং মূলে দুপুর ২ টা হতে নিয়মিত টহল ডিউটিতে রওনা হয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানাধীন নিমতলা এলাকায় অবস্থান করাকালে গোপন সংবাদে জানতে পারে যে, নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন মদনপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ভোজন বিলাস রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারের সামনে পাকা রাস্তার উপর দুইজন মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করতেছে।

উক্ত সংবাদ উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে দ্রুত উল্লেখিত স্থানে উপস্থিত হলে র‍্যাব এর উপস্থিতি টের পেয়ে দুইজন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স এর সহায়তায় উল্লেখিতদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

এসময় উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে ধৃত ইনজামামুল হক অপুর দেহ তল্লাশি কেরে ২ হাজার ৮৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (যার আনুমানিক মূল্য ৮ লাখ ৪৯ হাজার টাকা) ও গ্রেপ্তার মোঃ মাহফুজুর রহমান অর্পনের দেহ তল্লাশি কেরে ১ হাজার ৮৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (যার আনুমানিক মূল ৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা) উদ্ধার করে।

গ্রেপ্তারকৃত আপু দক্ষিণ লক্ষণখোলা এলাকার মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে ও অপর ধৃত অর্পন একই এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। ধৃত অপুর বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি মারামারি মামলা নং৩১(৭)১৫, তাং-২১/০৭/২০১৫ ইং এবং অর্পনের বিরুদ্ধে ২ টি মাদক মামলা নং- ১৬(৩)১৬, তাং-০৭/০৩/১৬ ও মামলা নং- ১৮(১০)১৮, তাং-০৭/১০/১৮ রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘ দিন ধরে বন্দরে বিভিন্ন এলাকায় অবাধে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *