আসলাম উদ্দিন আহম্মেদ,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীতে ব্রহ্মপূত্র নদে ঐতিহ্যবাহী অষ্টমীর স্নান সম্পন্ন হয়েছে।
২৮ মার্চ থেকে ট্রেন, বাস,পিকআপ, অটোরিকশা, ভ্যান, বাইসাইকেল যোগে উত্তরাঞ্চলের ৭ জেলা ও দেশের অন্যান্য এলাকা ও দেশের বাইরে থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা চিলমারীতে আসে।

প্রায় ৪ শত বছর ধরে প্রতিবছর চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের অষ্টমী তিথিতে এ পূণ্যস্নান সম্পন্ন করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। চিলমারীর ব্রহ্মপুত্রের এ স্থানটিকে তারা তীর্থ স্থান হিসেবে বিবেচনা করেন। হিন্দু ধর্ম মতে, এটি একটি পূণ্য কর্ম এবং এই স্নানের মাধ্যমে তাদের পাপ মোচন ঘটে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জীবনের সকল পাপ মোচনের জন্য প্রতিবছর নির্দিষ্ট এই দিনটিতে স্নানের জন্য ছুটে আসেন কুড়িগ্রামের চিলমারী বন্দরের ব্রহ্মপুত্র নদে। পাপ মোচনের অভিপ্রায়ে লাখো পূণ্যার্থী সমবেত হন ব্রহ্মপুত্র তীরে।

হাজার হাজার পুণ্যার্থী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের বসতভিটায় তাদের আশ্রয় নিয়েছিল। চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র তীরের রমনা ঘাটের উত্তর দিক থেকে শুরু করে রাজারভিটা ভায়া রুকুনুদৌলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত অষ্টমীর স্নান ঘাট হিসেবে নির্ধারিত ছিলো।২৯ মার্চ ভোর থেকে স্নানের কার্যক্রম শুরু হয়। উপজেলার রাজারভিটা এলাকায় বুধবার ভোর চারটা থেকে শুরু হয়ে ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত স্নানের উত্তম লগ্ন ধার্য করা হয়েছে। তবে দিনব্যাপী স্নান চলে।

প্রায় এক যুগেরও পর এবছর বুধবার স্নান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি পূণ্যার্থীদের জন্য পবিত্র দিন বলে জানিয়েছে স্নান উৎসব কমিটি।সে কারণে পুণ্যার্থীরা বেশি এসেছে। কমিটির সহ-সভাপতি তপন কুমার এনি জানান , ‘এ বছর দুই লক্ষাধিক পূণ্যার্থীর আগমন ঘটছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি সহ স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদাায়ের লোকজন পূণ্যার্থীদের নানা ভাবে সহযোগিতা করছেন’। চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, অষ্টমীর স্নান নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসন থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *