মোহাম্মদ এরশাদুল হক লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুটি উপড়ে বন্ধ হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও যান চলাচল শিলা বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বেশকিছু ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নষ্ট হয়ে গেছে বিভিন্ন ফসল ও শাক সবজির ক্ষেত সহ ২০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কালবৈশাখী ঝড় এই তান্ডব চালায়।
কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে লোহাগাড়ার বিভিন্ন এলাকায় প্রধান সড়কের উপর ৭০টির মতো গাছ ও ১১টি বিদ্যুতের খুটি উপড়ে পড়ে।উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ঝড়ের কবলে গাছ ভেঙ্গে গেছে। এতে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বুধবার সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড় ২০ মিনিট ধরে এই তান্ডব চালায়। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
জানা যায়, কালবৈশাখী ঝড়ে কিছু কাচা পাকা ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়।বিশেষ করে চরম্বা নাছির মোঃ সিকদার পাড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ঝড় কবলিত এলাকায় রাস্তার উপর গাছপালা পড়ে যোগাযোগের বিঘ্ন ঘটছে, বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। প্রবল বাতাসের সাথে শিলা বৃষ্টি হওয়ার কারণে কৃষকের কাচা, আধা-পাকা ধান, সবজি, লিচু ও আম বাগানের ক্ষতি হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি লোহাগাড়া জোনাল অফিসের ইঞ্জিনিয়ার মুুহাম্মদ ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, কাল বৈশাখীর ঝড়ের কবলে লোহাগাড়ার বিভিন্ন এলাকায় প্রধান সড়কের উপর ৭০টির মতো গাছ ও ১১টি বিদ্যুতের খুটি উপড়ে পড়ে। গ্রামীণ সড়কগুলোতে গাছ ভেঙ্গে পড়ে আছে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে কাজ করছি একটু সময় লাগতে পারে। যান চলাচল একটু স্বাভাবিক হয়েছে গ্রামীণ সড়কগুলোতে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, কালবৈশাখীর ঝড়ের কবলে এলাকার কিছু ধান ক্ষেত ও ফসলাদী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মুহাম্মদ আহসান হাবীব জিতু জানান, বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে ঝড়ের কবলে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হচ্ছে।যে কয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাল বৈশাখীর ঝড়ের কবলে পড়েছে সেগুলো পরিদর্শন করে সহায়তা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।