ডেক্স রিপোর্ট
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় সামান্য বৃষ্টি হলেও পানিতে ডুবে যায় লোহাগাড়ার চৌধুরী সড়ক এছাড়া সড়কে গর্তের কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধারণ ও যানবাহন চালকদের।

লোহাগাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌধুরী সড়ক একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক এ সড়কের বিমান বিল্ডিং-এর সামনে গর্তে জমে থাকে পানি। গাড়ি চলে ঝুঁকি নিয়ে। তার ওপর গর্তে জমে থাকে বৃষ্টির পানি। দেখে মনে হবে ডোবা। ভারী বর্ষণের কারণে এসব গর্তে পড়ে প্রায় সময় আটকে যাচ্ছে গাড়ি। কাদাপানিতে একাকার হয়ে যাওয়ায় হাঁটাও দায় হয়ে পড়েছে। এই হালটি লোহাগাড়ার বিমান বিল্ডিংস্থ চৌধুরী সড়কে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটি ৩ বছর পূর্বে কার্পেটিং করা হয়েছিল। তবে, বৃষ্টি হলেই সড়কের বিমান বিল্ডিং-এর সামনে পানি জমে থাকে। বড় বড় গর্তের কারণে ওই জায়গা ডুবে যায়। পানি চলাচলের জন্য সড়কের পাশে ড্রেনের ব্যবস্হা থাকলেও ড্রেন পরিষ্কারের কোন ব্যবস্হা নেই। ফলে সাধারণ জনগণ ও গাড়ি চলাচলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়।

গোবিন্দ হোটেলের মালিক অভি দাশ জানান, বৃষ্টি হলে গর্তগুলোতে পানি জমে থাকে। গাড়ি চলাচলের সময় গর্তে জমে থাকা পানিগুলো তাদের দোকানে ছিটকে পড়ে। অনেকক্ষণ পরে গর্তের পানি কমে যায়। আমার দোকানে কোন কাস্টমার খাবার খেতে আসতে পারেনা। অনেক কষ্টের মধ্যে আমাদের দোকান করতে হয়। গাড়ি চলাচলের সময় বৃষ্টির পানি দোকানে ছিটকে পড়ে দোকানের আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় মালামাল নষ্ট হয়ে যায়।

স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা খাইর আহমদ জানান, বিগত আড়াই বছর পূর্বে সড়কটি কার্পেটিং করা হয়েছিল। কিন্তু বর্ষার শুরু হওয়ার সাথে সাথে ওই স্থানে গর্তে পরিণত হয়। চরম ভোগান্তির মাধ্যমে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি সংস্কারের জোর দাবি জানান তিনি।

সিএনজিচালক সেলিম জানান, বৃষ্টির কারণে সড়কের কার্পেটিং নষ্ট হয়ে গর্তে পরিণত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টির পানিতে ডোবা আকার ধারণ করে। চলাচলের সময় সিএনজির চাকা গর্তে ঢুকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।

স্থানীয় কাপড়ের ব্যবসায়ী মুহাম্মদ কফিল উদ্দিন জানান, সড়কটিতে বড় গর্তের কারণে আমরা চলাচল করতে পারিনা। ভারী বর্ষণের কারণে সড়কটি ডুবে যায়। আমাদের ব্যবসা করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। লোহাগাড়া উপজেলা প্রকৌশলী ইফরাত বিন মুনীর বলেন, সড়কটি ৪৭ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণের জন্য,নির্ধারণ করা হয়েছে।ইতোমধ্যে সংস্কারের জন্য টেন্ডার হয়েছে। বর্ষা মৌসম কমে গেলে সড়কটির কাজ শুরু করা হবে বলেও তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *