তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোর ও গোদাগাড়ীর সীমান্ত সংলগ্ন পলাশী আদিবাসী পল্লীর বাসিন্দা বাবুরাম হেমরনের কন্যা সন্জিতা হেমরমের (৩) মৃত্যুর দায় নিবে কে ? হতদরিদ্র আদিবাসী পরিবার শিশু কন্যা হারানোর ন্যায় বিচার কি পাবে না ? ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে বড় অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়ে একটি মহল শিশু সন্জিতা হত্যার ঘটনা ধাঁমাচাঁপা দিয়ে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে তানোরের সীমান্তবর্তী পলাশী থেকে খড়িয়াকান্দী প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে রাস্তার কাজে ব্যবহৃত ট্রলির চাকায় পিস্ট হয়ে ঘটনা স্থলেই মারা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,৩ জুন বৃহস্প্রতিবার দুপুরে পলাশী আদিবাসী পাড়া রাস্তার কাজে ব্যবহৃত ট্রলির চাকায় পিস্ট হয়ে ঘটনা স্থলেই শিশু সঞ্জিতার মৃত্যু হয়। এদিকে গ্রামবাসী এটাকে নিছক দুর্ঘটনা মানতে নারাজ, তারা বলেন, চালক ইচ্ছে করলেই শিশুটিকে বাঁচাতে পারতেন। কিন্ত্ত মদ্যপ অবস্থায় চালক শিশুটির দেহের ওপর দিয়ে ট্রলি চালিয়ে দেয়। এ সময় গ্রামবাসী ট্রলি চালককে আটক করলে ঠিকাদার তার লোকজন দিয়ে ট্রলি চালক ছাড়িয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। আদিবাসী পল্লীর বাসিন্দারা জানান, ওই দিনই নিহত সন্জিতার পিতা বাবুরাম হেমরম বাদি হয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানায় শিশু হত্যার অভিযোগ করেছে। কিন্ত্ত অজ্ঞাত কারণে পুলিশ এখানো বিষয়টি আমলে নেয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী জানান, কাঁকনহাট পৌর মেয়র একেএম আতাউর রহমান, ইউপি সদস্য মুজিবুর রহমান ও পারগানা বাবু লাল মুর্মু বিষয়টি নিয়ে আপোষ-মিমাংসায় বসার কথা বলেছে, তবে তারা এখানো কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তারা শিশু হত্যার বিচার চাই। এবিষয়ে জানতে চাইলে কাঁকনহাট পৌর মেয়র একেএম আতাউর রহমান বলেন,এবিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে ইউপি সদস্য মুজিবুর রহমান বলেন, শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি নিয়ে জুয়েলসহ বসার কথাা ছিল বস্টির
কারণে বসা হয়নি।