নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি-
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন এলাকায় রুমা আক্তার (১৭) নামে এক গার্মেন্ট কর্মীর লাশসহ টুম্পা নামে তার এক বান্ধবীকে কৌশলে থানায় নিয়ে হাজির হয়েছেন সিএনজি চালক।
ঘটনা সূএে যানা যায়, ঈদুল ফিতরের দিন রাতে রুমা ওই বান্ধবী টুম্পার বাসায় বেড়াতে যায়। শনিবার (১৫ মে) ভোররাত ৪ টার দিকে সেখানে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। টুম্পা মৃত লাশ সিএনজি করে ফেরত আসার সময় টুম্পার আচরণ সন্দেহজনক হলে সিএনজি ড্রাইভার কৌশলে লাশসহ টুম্পাকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নিয়ে যান। পুলিশ টুম্পাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ বলেন নিহত রুমার শরীরে কোথায় কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। তবে এটি হত্যাকান্ড না স্বাভাবিক মৃত্যু এ বিষয়ে তাৎক্ষনিক নিশ্চিত কিছু বলতে পারেনি।
নিহত রুমা কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার গনেশপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে। বর্তমানে নয়া আটি মুক্তিনগর আমির পাগলার বাড়ির ভাড়াটিয়া। সে মুনলাক্স গার্মেন্টে হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিলো। আটক টুম্পা পটুয়াখালি জেলার সদর থানার বল্লভপুর কালুকাপুর গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে। বর্তমানে পাঠানটুলী আইল পাড়া এলাকায় বসবাস করেন।
একটি সূত্র জানায়, নাসিক আইলপাড়া এলাকায় জিতুর ড্যান্স একাডেমিতে তারা ঈদের দিন রাতে ড্রিংক করে। সেখানে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। ভোর ৪ টার দিকে রুমা আক্তারের মায়ের ফোনে টুম্পা ফোন দিয়ে জানায় রুমা অসুস্থ্য। তার অবস্থা খারাপ। খবর পেয়ে রুমার মা ও বোন ফারজানা খোঁজ করতে বের হয় বান্ধবী টুম্পার বাসা খুঁজে না পেয়ে বাসায় ফিরে যান।
নিহত রুমার মায়ের দাবী, তার মেয়ের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। রুমাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যাবিচার দাবী করছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মশিউর রহমান বলেন,ময়নাতদন্তের আগে মৃত্যুর কারন সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বান্ধবী টুম্পাকে আটক করা হয়েছে।