সিদ্ধিরগঞ্জ সংবাদ দাতা
নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সভাপতি পদপ্রার্থী হাজী শফিকুল ইসলাম এর উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন ও ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও কেক কাটা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাত ৮ টায় নাসিক ২ নং ওয়ার্ডে হাজী শফিকুল ইসলাম এর অফিসে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে কর্মীদের নিয়ে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে হাজী শফিকুল ইসলাম বলেন, ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবরে ধানমন্ডির বিখ্যাত ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাড়িটি আলোকিত করে এলো শেখ রাসেল। রাসেল নামটি রেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই। তাঁর প্রিয় লেখক ছিলেন বার্ট্রান্ড রাসেল। পৃথিবী বিখ্যাত ব্রিটিশ দার্শনিক সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত বার্ট্রান্ড রাসেলের নামের সঙ্গে মিলিয়ে তিনি পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যের নাম রাখলেন রাসেল, শেখ রাসেল।
এই নামটিকে ঘিরে নিশ্চয়ই তাঁর মহৎ কোনো স্বপ্ন বা আকাঙ্ক্ষা ছিল। বঙ্গবন্ধু নিজেও ছিলেন বিশ্ব মানবতার উজ্জ্বল দ্যুতি, নিপীড়িত মানুষের বন্ধু, বাঙালির জাতির জনক, মুক্তিকামী মানুষের মহান নেতা এবং গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও শান্তি আন্দোলনের পুরোধা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মাত্র ১১ বছর বয়সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঘাতকদের হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন শিশুপুত্র শেখ রাসেলও। পৃথিবীতে যুগে যুগে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, কিন্তু এমন নির্মম, নিষ্ঠুর এবং পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড কোথাও ঘটেনি।
হত্যাকাণ্ডের সময় আতঙ্কিত হয়ে শিশু রাসেল কেঁদে কেঁদে বলেছিলেন, ‘আমি মায়ের কাছে যাব।’ মা, বাবা, দুই ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, চাচা সবার লাশের পাশ দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে সবার শেষে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করল শেখ রাসেলকে। শিশু রাসেলকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে ঘাতকরা মানব সভ্যতার ইতিহাসে জঘন্যতম অপরাধ করেছে। এ ধরনের নিষ্ঠুর ‘মার্সি কিলিং’ শুধু রাসেলের জীবনকেই কেড়ে নেয়নি, সেইসঙ্গে ধ্বংস করেছে তাঁর সব অবিকশিত সম্ভাবনাও
হাজী শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,মোহাম্মদ মিলন,মোহাম্মদ হাসান,মোহাম্মদ রায়হান,মোহাম্মদ মুন্না, মোহাম্মদ সজীব, মোহাম্মদ রাজু, মোহাম্মদ নাজমুল,মোহাম্মদ সুমন মিয়া, মোহাম্মদ বাবু,মোহাম্মদ শামীম,রুদ্রসহ প্রমুখ।