এন. এইচ. শান্ত, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের ঝিনিয়া গ্রামের ভুয়া দলিল দিয়ে জমি দখলের চেষ্টার ঘটনা ঘটে।
ঘটনা সূত্র তোজাম্মেল হোসের পৈত্রিক সূত্রে মালিক ৩০ নং খতিয়ানের ও ১০৫১ দাগে ৩৯ শতাংশ জামির মধ্যে ৩১ শতাংশ জমি শান্তিরাম মৌজার আবুল কাশেমের নিকট ২৮৩১ নং কবলা দলিল মুলে বিক্রি করে ১৮/০২/১৯৮১ সালে, এবং ১৯৮১ সাল থেকে ওই জমি চাষাবাদ করেন ক্রয় সূত্রে মালিক আবুল কাশেম, ২০০১ সালে ওই জমি দাবি করেন খোরশেদ আলী বিষয়টি এলাকায় উত্তেজিত হয়ে উঠলে অভিযোগ পেয়ে ইউনিয়ন গ্রাম আদালত শালিস দিলে ঝিনিয়া হাইস্কুল মাঠে শালিস বসে ২২/০২/২০০১ইং তারিখ রোজ শক্রবার বিকালে বসে শালিসে দুপক্ষের জাবেদা খতিয়ান ও দলিল প্রদর্শিত করেন এবং ১৮/০২/১৯৮১ একেই তারিখে একেই দত্তা একেই দাগের (দাগ নং ৩৭৫১) ৩৯ শতাংশ জামির মধ্যে ১৬ শতাংশ জমি ২৮০৮ নং কবলা দলিল মূলে ঝিনিয়া গ্রামের নছির উদ্দিন পুত্র মোঃখোরশেদ আলীর নিকট বিক্রি করেন তাই কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে উপজেলা সাব রেজিস্ট্রারস অফিসে ১৯৮১ সালের ৫৩ নং বালাম বহি অনুসন্ধান করেন এবং অনুসন্ধানে ৩০৫১ দাগ সেখানে দেখতে পান। এবং ৩০৫১ দাগ উল্লেখ পূর্বক আর একটি জাবেদা নকল আনেন, সাব রেজিস্ট্রার অফিসে বলিম বহি অনুসন্ধান খোরশেদ আলীর প্রদর্শিত জাবেদা দলিল জাল বলে সিদ্ধান্ত হয় শুধু তাই নয় আলোচ্য বিষয় হলো ৩০ নং খতিয়ান ৩৭৫১ দাগ বলে কোনো দাগ নেই। ১৩/০৫/২০০১ ইং তারিখে পরবর্তী শালিস বসে সকলে অনুমতিতে এবং গ্রামের শান্তি বজায় রাখতে সকলকে মিলেমিশে থাকতে হবে বলে চেয়ারম্যান বলেন আবুল কাশেমের দলিল সঠিক বলে গণ্য করা হয় এবং খোরশেদ আলী প্রদর্শিত জলিল জাল বলে সিদ্ধান্ত হয়। তার পর থেকে আবুল কাশেম আবারও সেই জমি চাষাবাদ করে যাচ্ছে। এবং ২০২০ সালে আবারও সেই জমিতে নজর পড়ে খোরাকেরই আলীর ১৪৪ ধারা মামলা দিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করতেছেন আবার জমি চাষাবাদ বন্ধ করে রেখেছে মামলার সিদ্ধান্ত অপেক্ষা করতে অসহায় গরীব আবুল কাশেমের ১ বছর থেকে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে আছে।
