নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়িমজলিশ এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুলাল মিয়া (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীর পেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নারী-ভুড়ি বের করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।
এ সময় এলাকাবাসী মুমূর্ষু অবস্থায় আহত দুলাল মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহত দুলাল মিয়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
আহত দুলাল মিয়া উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের মৃত শাহজাহান ওরফে ডেঙ্গর আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় গতকাল বুধবার সকালে আহতের ভাতিজা ইয়াছিন হোসাইন নির্ঝর, বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় রাজ্জাক, মেহেদি, মহসীন, ইমদাদ হোসেন, জামান, শামীম, সজিব, শাহ আলমসহ, আরো ১০-১৫জন অজ্ঞাতনামাকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে সোনারগাঁ থানার এসআই মো. ইমরান হোসেন ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইমদাদ হোসেন (৫৫) ও আরমানকে (৪৩) গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ ও মামলার বাদি ইয়াছিন হোসাইন নির্ঝর জানান, তার বাবা ফজল মিয়া দীর্ঘ দিন যাবত বাড়িমজলিশ গ্রামের মৃত হাসেমের ছেলে রাজ্জাকের সঙ্গে জমি-জমার ব্যবসা চালিয়ে আসছে। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজ্জাক মোবাইলে ফজল মিয়াকে ডেকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়।
এ সময় ব্যবসায়ীক লেনদেন কে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হলে রাজ্জাক তার দলবল নিয়ে ফজল মিয়াকে মারধর শুরু করে। এ খবর পেয়ে ফজল মিয়ার ছেলে নির্ঝর ও তার ছোট ভাই ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নারী-ভুড়ি বের করে হত্যার চেষ্টা চালায়।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান উল্লাহ জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সকালে মামলা দায়েরের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।