নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিএনপির সভাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৈষম্যবাদী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের মাগফেরাত ও খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার প্যান্ডেল ভাঙচুর করা হয়। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) কাঁচপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এসময় বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের সাঁটানো ব্যানার, ফেষ্টুন ভাঙচুর ও ছিড়ে ফেলা হয়। সভার আয়োজক বিএনপির নেতাকর্মীরা প্যান্ডেল নির্মাণে বাধা প্রদানকারীদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কাঁচপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমান বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার পর ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে ।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বৈষম্যবাদী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের মাগফেরাত ও খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আগামী ২৪ আগষ্ট শনিবার এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সোনারগাঁ থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা অতিথি হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সভাকে কেন্দ্র করে ওই ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা সভাস্থলে ইতোপূর্বে ব্যানার ও ফেষ্টুন সাঁটিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান ওরফে ডন বজলুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের নারায়ণগঞ্জ জেলার বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সবুজ, রনি, শাহ আলম, সাইদুর রহমান, জাকির হোসেনসহ সিদ্ধিরগঞ্জের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে সভা স্থলে গিয়ে প্যান্ডেল ভাংচুর করে এবং বাধা দেয়। এসয়ম তাদের প্যান্ডেল ভাঙতে বাধা দিলে আলিফ, মিজানুর রহমান, সেলিম, রাব্বীসহ ৫ জন আহত হয়।
আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে স্থানীয় বিএনপির লোকজন সভাস্থলে এসে ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। কাঁচপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে বজলুর রহমান আওয়ামীলীগের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন।
বিএনপির ত্যাগী নেতারা হামলা, মামলায় শিকার হয়েছেন। সরকার পতনের পর বজুলর রহমান ওরফে ডন বজলু এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে মিল, কারখানা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
বিএনপির সভা করতেও এখন বাধা দিচ্ছেন। বিএনপির কর্মী মিজানুর রহমান জানান, ছাত্র জনতার উভ্যূত্থানে নিহতের মাগফেরাত কামনা ও খালেদা জিয়ার সুস্থতায় ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে মাহফিল ও সভায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী নিয়ে ভাঙচুর কোন ভাবে মেনে নেওয়া যায়না।
বজলুর রহমান বিএনপির লোক হয়ে থাকলে তিনি সভায় বাধা দেন কেন?। এমন আচরণের জন্য বজলুর রহমান বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের কোন পদে থাকলে তার বহিস্কার দাবি করছি।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুজ্জামান বলেন, বিএনপির সভার প্যান্ডেল ভাঙচুরের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।