আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল ঠাকুরগাও প্রতিনিধি:
পুকুরে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক বাল্বের ছেড়া তার সরাতে গিয়ে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন গৃহিনী অধিকা রানী। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার শাশুড়ি বিমলা রানী (৫৫) জড়িয়ে পড়েন ওই বৈদ্যুতিক তারে।
এ ঘটনা দেখে মা ও স্ত্রীকে তড়িঘড়ি করে বাঁচাতে এগিয়ে যান শ্রী কৃষ্ণ চন্দ্র (৪০)। কিন্তু মা ও স্ত্রীকে বাঁচাতে পারলেও নিজের শেষ রক্ষা হয়নি। বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় আহত মা ও স্ত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার ভোরবেলা ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের দফাদারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কৃষ্ণ ওই এলাকার খাটাসু চন্দ্রের ছেলে। পেশায় তিনি একজন দর্জি।
নিহত কৃষ্ণ চন্দ্রের প্রতিবেশী কিরণ বালা জানান,
সকালে গরুর পা লেগে পুকুরে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক বাল্বের তার ছিড়ে গেলে সেটি হাত দিয়ে সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন অধিকা রানী। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে শাশুড়ি বিমলা রানীও বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে পড়েন। পরে মা ও স্ত্রীকে বৈদ্যুতিক তার থেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজে জড়িয়ে পড়েন শ্রী কৃষ্ণ চন্দ্র। এতে ঘটনাস্থলেই মার যান তিনি।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. স্বরুপ মালাকার জানান, সকাল ৯টার সময় কৃষ্ণসহ তার মা ও স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল স্থানীয়রা। কৃষ্ণ হাসপাতালের পৌছানোর পূর্বেই মারা যান। স্ত্রী ও মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
ভানোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহাব সরকার বলেন, দুপুর ২টার সময় ধনিরহাটের পার্শ্বের শ্বশানে কৃষ্ণের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। পরিবারটির একমাত্র উপাজর্নক্ষম ব্যক্তি ছিলেন কৃষ্ণ। তাকে হারিয়ে ৪ সন্তানসহ স্ত্রী অসহায় হয়ে গেলেন।