আসলাম উদ্দিন আহম্মেদ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
নিজের একমাত্র সন্তানের জন্য বাঁচতে চায় কুড়িগ্রামের চিলমারীর এভাসকুলার নেক্রসিস(এভিএন) আক্রান্ত মোছাঃ মাহমুদা আক্তার মুন্নি। দীর্ঘ ১মাস ধরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন তিনি।

এভাসকুলার নেক্রসিস(এভিএন) রোগে ক্ষতিগ্রস্থ হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন করলে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে মুন্নি।শুধু হিপ জয়েন্ট অপারেশনের কথা থাকলেও বর্তমানে হাটু পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মর্মে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক।

এমনিতেই দুটি হিপ জয়েন্টে বল প্রতিস্থাপন করতে অনেক টাকা প্রয়োজন তার উপর হাটু পর্যন্ত হার ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার খবরে ভেঙে পড়েছে মুন্নি। কোথা থেকে আসবে অর্থ? কিভাবে হবে তার অপারেশন? এরুপ নানা চিন্তা মাথায় নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে দিন যাচ্ছে তার।এদিকে এর মধ্যে গত ২৮জানুয়ারী সকালে মুন্নির শাশুরী মৃত্যুবরণ করায় তার মেয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলাধীন থানাহাট ইউনিয়নের বালাবাড়ীহাট শিকার পাড়া এলাকার রিক্সা চালক মঞ্জু মিয়ার কন্যা মাহমুদা আক্তার মুন্নি(৩২)। উচ্চ শিক্ষা অর্জনের ইচ্ছা থাকলেও অর্থাভাবে পড়াশুনা করতে পারেনি। সংসারের অভাব মিটাতে ২০০৭সালে এইচএসসি পাশ করা মুন্নি স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। বিয়ে হয় বজরাতবকপুর পুটিমারী এলাকার মমিনুল ইসলাম নামে এক যুবকের সাথে। তাদের ১২বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।

বেকার স্বামীর সংসারে থেকে কিন্ডার গার্টেন স্কুলে চাকুরী করে যা আয় করেন তা দিয়ে কোন রকমে তাদের সংসার চলছিল।দীর্ঘ দিন পায়ে ব্যাথা। তারপর সে ব্যাথা কোমর পর্যন্ত উঠতে থাকে।ব্যাথার কারনে আস্তে আস্তে চলাফেরা বন্ধ হয়ে যায় মুন্নির। পরীক্ষা নীরিক্ষা করে জানতে পারে এভাসকুলার নেক্রসিস(এভিএন)রোগে আক্রান্ত হয়েছে মুন্নি।অর্থাৎ দুটি হিপ জয়েন্টই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক দুটি বলসহ গোটা হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন করলে সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি। আর এজন্য সবমিলে ১০থেকে ১২ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। রিক্সা চালক গরিব পিতা এবং বেকার স্বামীর পক্ষে এত টাকা যোগান দেয়া অসম্ভব। মাহমুদা আক্তার মুন্নি জানান,বিভিন্ন বিত্তশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় তিনি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের নবম তলায় ৯৩৭নং পেইং বেডে ভর্তি আছেন।

সেখানে বেড ভাড়া দিতে হয় প্রতিদিন ৩২৫টাকা। পরীক্ষা নিরীক্ষায় জানা গেছে শুধু হিপ জয়েন্ট নয় এখন দুই পায়ের হাটু পর্যন্ত হার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে,যা প্রতিস্থাপন করতে হবে। ১২বছর বয়সের কন্যা মিথিলার কথা ভেবে বাঁচতে চায় মুন্নি। এজন্য তিনি বিত্তশালীদের সহযোগীতা কামনা করেন।তার সহযোগিতার জন্য মুন্নির বাবা মোঃ মন্জু মিয়া ০১৪০১-৭৬৮১৭৪ অথবা ০১৭০৫-৮৫৯৪১২ নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *