ইন্দ্রজিৎ টিকাদার বটিয়াঘাটা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ খুলনা জেলা শাখার তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জাতীয় সংসদের -১০৩, খুলনা- ৫ আসনের সংসদ সদস্য পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী জননন্দিত নেতা অজয় সরকারের বিরুদ্ধে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ কতৃক গৃহীত সাময়িক বহিস্কারাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাতিল হওয়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরন ও আনন্দ মিছিল সহ নানা কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।

জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গত ১৬ মার্চ থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীদের স্ব-উদ্যোগে চলছে আনন্দ প্রকাশের নানা কর্মসূচি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় কয়েকশ নেতাকর্মী আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ চালিয়ে এক আলোচনা সভা ও মিষ্টি বিতরন কর্মসূচি পালন করে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ইউপি সদস্যসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ এতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও আজ কয়রা উপজেলা শ্রমিকলীগের পক্ষ থেকে উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরন করা হয়েছে।

জানাগেছে মনগড়া অভিযোগ এনে গত ১৭ ডিসেম্বর তড়িঘড়ি করে জনদরদী আওয়ামী লীগ নেতা অজয় সরকারের অনুপস্থিতিতে কোন প্রকার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই তাকে সাময়িক বহিস্কার করে ৭দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয় খুলনা আওয়ামী লীগ। অজয় সরকার যথাসময়ে এই নোটিশের জবাব দেন এবং উপরন্ত তিনি এবিষয়ে দলীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সমস্ত বিষয়টি অবহিত করে সুবিচার প্রার্থনা করেন। জানাগেছে দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশেই অজয় সরকারের বিরুদ্ধে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের আনিত অভিযোগ গ্রহন করেনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

এ বিষয়ে অজয় সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সকলকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “সত্যের জয় অবশম্ভাবী, আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আমি দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কোন কাজই করেনি। আমাকে রাজনৈতিক প্রতিযোগীতা থেকে হঠাতে দলের মধ্যে থাকা কতিপয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জেলার দায়িত্বশীল নেতাদের ভূল বুঝিয়ে এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহনে উৎসাহিত করেছেন।”

তিনি মনে করেন এ বিষয়ে তিনি দলীয় সভানেত্রীকে অবহিত করেই সুবিচার পেয়েছেন। উপরন্তু তিনি জেলা আওয়ামী লীগের শোকজ নোটিশের জবাব দেন। অজয় সরকার মনে করেন তার যৌক্তিক জবাব ও তথ্য প্রমানে দলের জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সন্তুষ্ট হয়েছেন। এবং তিনি ভিত্তিহীন অভিযোগের দায় থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ সকল দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *