নিজস্ব প্রতিবেদক,

ঢাকার অদূরে পূর্ব শত্রুতার জেরে একটি মুদি দোকানে হামলা চালিয়ে পলাশ মিয়া (৩২) নামে এক ব্যবসায়ীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে মনির ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তি।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি নিয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী শাহানাজ পারভীন শোভা।
আহত পলাশ মিঞা বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের করিতলা গ্রামের নজির হোসেন মণ্ডলের ছেলে ও আশুলিয়া থানা যুবলীগ নেত্রী শাহানাজ পারভীন শোভার স্বামী।
তিনি ভাদাইল এলাকায় পলাশ স্টোর নামে একটি মুদি দোকানের মালিক।
অভিযুক্তরা হলেন- ধামসোনা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাদেক ভূঁইয়া ও তার ছেলে যুবলীগ নেতা মনির ভূঁইয়া।এছাড়া জাহিদ, সাগর, মানিক, ইথুন, আশরাফুল, আশরাফুল ইসলাম, ইজাজ ভূঁইয়া, সাইফুল, সজিব ও সবুজ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ইফতারের পর সাদেক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে মনির ভূঁইয়াসহ ৩০/৪০ জন লোক পলাশের দোকানে আসেন।


এসময় পলাশকে গালিগালাজ করতে করতে দোকানে প্রবেশ করেন মনির ভূঁইয়া। পরে পলাশকে রড দিয়ে মারতে মারতে দোকানের বাইরে নিয়ে আসেন তিনি। বাইরে থাকা আরো ৩০ থেকে ৪০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী চাপাতি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশে এলোপাথাড়িভাবে কোপাতে ও পেটাতে থাকের। এক সময় পলাশকে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। পরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকা পলাশকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তোভোগীর স্ত্রী যুবলীগ নেত্রী শাহানাজ পারভিন শোভা বলেন, শত্রুতার জেরে এর আগেও আমাকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে সাদেক ভূঁইয়ার ছেলে মনির ভূঁইয়া। আজ আমার স্বামীকেও মেরে ফেলার উদ্দেশে হামলা করেছে সে। আমরা আমাদের জীবনের নিরাপত্তাসহ প্রতিটি হামলার সুষ্ঠু বিচার চাইএ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *