আলিফ হোসেন,তানোর

রাজশাহী-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর নিরন্তন প্রচেষ্টায় তানোর-গোদাগাড়ী উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অপ্রত্যাশিত উন্নয়ন অর্জিত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে।
দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে চলছে উন্নয়ন।
জানা গেছে, গোদাগাড়ী উপজেলা জেলায় ২০১৭ – ২০১৮ অর্থবছরে প্রায় ২৫ কোটি ব্যয়ে ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চারতলা বিশিস্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হতে চলেছে। স্থানীয় সাংসদের নির্দেশনায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলীগণ কাজগুলি তদারকী করছেন যা সম্পন্ন হতে চলেছে।

সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, এসব ভবনের প্রতিটিতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ ও দৃস্টিন্দন এসব একাডেমিক ভবনে রয়েছে ১২টি বিশাল শ্রেণী কক্ষ, টয়লেট, বাথরুম, সিঁড়ি, আসবাবপত্রসহ আধুনিক সুযোগ সুবিধা। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর একাডেমিক ভবন গুলি নির্মান করছেন।

গোদাগাড়ী উপজেলার মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, মাটিকাটা উচ্চ বিদ্যালয়, ভাগাইল উচ্চ বিদ্যালয়, রিশিকুল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চম্পক নগর উচ্চ বিদ্যালয়, লস্করহাটি উচ্চ বিদ্যালয়, বাসুদেবপর শাহীদুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দিগরাম উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁন্দলাই পরগনা উচ্চ বিদ্যালয়, মাছমারা উচ্চ বিদ্যালয়, এছাড়াও প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে সোনাদীঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থতলা সম্প্রসারনের কাজ পুরোদমে চলছে।অন্যদিকে ভাটোপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একই পরিমান আর্থে ব্যয়ে উর্ধ্বমুখী ভবন নির্মান কাজ শেষ পর্যায়ে।

মাটিকাটা আদর্শ ডিগ্র কলেজে ৭৫ ব্যয়ে ও ব্রাহ্মণগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে একই পরিমান অর্থ ব্যয়ে ৪ তলা ভিতবিশিস্ট এক তলা ভবনের নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়েছে।শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। কাঁকনহাট মহাবিদ্যালয়ের ঝুকিপূর্ণ ভবন সংস্কার ও মেরামতের জন্য ২৫ লাখ টাকা, এছাড়াও সংস্কার ও মেরামতের জন্য আরও ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ টাকা করে উন্নয়ন বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।

এদিকে গুলগফুর স্কুল এন্ড কলেজের ৪ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের নির্মান কাজ শেষ হয়েছে এবং অধ্যক্ষের নিকট ভবনটি হস্তান্তর করা হয়েছে। এর ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সোনাদীঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ৪তলা ভিতবিশিষ্ট একতলা ভবনের নির্মান কাজ চলছে। সোনাদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম জানান, এতে ব্যয় হবে প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা।অপরদিকে, পিরিজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে, চর আষাড়িয়াদহ কানাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭৮ টাকা, আল-জামিয়াতুস সালাফিয়া আলিম মাদ্রাসায় ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪ তলা ভিতবিশিস্ট একতলা একাডেমিক কাজ শেষ হয়েছে।

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্ছ শিক্ষা অধিদপ্তর গোদাগাড়ীর উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুস সামাদ মন্ডল জানান, গোদাগাড়ী উপজেলায় ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪ তলা একাডেমিক ভবনের কাজ সম্পন্ন হতে চলেছে। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে লকডাউন থাকায় কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকায় একটু সমস্যা হয়েছে কিন্তু শারিরীক দুরুত্ব মেনে কাজ গুলি এখন পুরোদমে চলছে।

প্রতিটি একাডেমিক ভবনে ব্যয় হবে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিনি আরো বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্মান কাজগুলি করছেন ১৮ মাসের মধ্যে একাডেমিক ভবনের নির্মান কাজ শেষ করার কথা থাকলেও করোনা ভাইরাসের কারণে ডকডাউন থাকায় বেশ কিছুদিন নির্মান কাজ বন্ধ থাকায় একটু বিলম্ব হচ্ছে। পিরিজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাফুজুল আলম তোতা বলেন, ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে একাডেমিক ভবনের কাজ শেষ হওয়ায় রাজশাহী -১ আসনের এমপি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, এতে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী উপকৃত হবে।

শিক্ষার পরিবেশ পরিবেশ ভাল হবে, গুনগত মান বৃদ্ধি পাবে। মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী বলেন, ছাত্রী, শিক্ষক ও এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতিতে সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী, রাজশাহী- ১ আসনের সংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী ৪তলা একাডেমিক ভবন দেয়ায় আমারা দারুন খুশি। উনার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে কয়েকবার দোয়া করা হয়েছে। বর্তমান সরকার ও এমপি মহোদয় শিক্ষা বান্ধব সেটা আবারও প্রমান হলো। তিনি আরও বলেন, নির্মান কাজ শেষ হলে ৭০০ শতাধিক শিক্ষার্থী উন্নত পরিবেশে জ্ঞান অর্জন করবে, শিক্ষার গুনগতমান বৃদ্ধি পাবে দীর্ঘদিনের অবকাঠামোর সমস্যার সমাধান হবে এবং পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল আরও ভাল হবে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী -১ আসনের সংসদ সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের সরকার, শিক্ষা বান্ধব সরকার, শেখ হাসিনা প্রধান মন্ত্রী থাকলে দেশের উন্নয়ন হয় এটা তার প্রমান। আর অন্য কেউ প্রধান মন্ত্রী হলে দেশের ক্ষতি হয় দেশ পিছিয়ে যায়, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়, মাতৃকোলে শিশু যেমন নিরাপদ তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশ তেমনি নিরাপদ।

এ বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার, উন্নয়নের সরকার, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন লক্ষে সরকার উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চান দেশের কোন মানুষ নিরক্ষর থাকবে না, দেশের শিক্ষার্থীরা যেন উন্নত পরিবেশে শিক্ষা অর্জন করতে পারে, এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চারচারপাশে তলা একাডেমিক ভবণসহ বিভিন্ন ভবন নির্মান করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, রাজশাহী ১ আসনের এমপি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার উন্নয়নের জন্য নিরন্তন প্রচেষ্টা করে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আসছেন। নির্বাচনী এলাকার মানুষের সার্বিক উন্নয়ন চেষ্টা করে যাচ্ছেন। করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি উপেক্ষা করে প্রায় প্রতিদিন নির্বচনী এলাকায় আসছেন, বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর নিচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *