বন্দর প্রতিনিধিঃ
ঐতিহ্যবাহী বন্দর থানা মসজিদে এখন আর দেয় না আযান হয়না নামাজ। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত আযানের সুমধুর ধ্বনি শুনে নামাজ পড়তে আসতেন এলাকার মুসল্লিরা। কিন্তু চোঁখের পলকে বন্ধ করে দেয়া হলো পুরনো মসজিদটি। তবে মসজিদ বন্ধ থানায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মুসল্লিরা সহ এলাকার স্থানীয়রা।

জানা গেছে, বন্দর থানা ঐতিহ্যবাহী মসজিদে আযানের সুমধুর ধ্বনি শুনে নামাজ পড়ে আসতে মুসল্লিরা। কিন্তু দীর্ঘ এক মাস যাবৎ মসজিদটি বন্ধ রয়েছে। অথচ মসজিদ মহান আল্লাহ তায়ালার ঘর। পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট শান্তি ও নিরাপত্তার জায়গা মসজিদ। মুসলমান মসজিদে গেলে প্রশান্তি লাভ করেন। কিন্তু কেন বন্দর থানা মসজিদ বন্ধ করে রাখা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক করে মুসল্লিরা জানান, বন্দর থানা মসজিদ অনেক পুরনো, আমরা ছোট বেলা থেকেই এই মসজিদে নামাজ পড়ে আসতাম। কিন্তু বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা যোগদানের কয়েক মাস পরই মসজিদ বন্ধু হয়ে যায়। কেন মসজিদ বন্ধ করা হলো এখনও রহস্যজনক রয়ে গেছে। এছাড়াও থানার পাশেই অনেক দোকান রয়েছে তারা আযান শুনে মসজিদে নামাজ পড়তে আসতো। কিন্তু এখন আর তারা আযান শুনে না, মসজিদেও যেতে পারে না নামাজ পড়তে।

তারা আরও জানান, মসজিদে ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় হতো। সেই সাথে জুম্ম’আ নামাজ সহ রমজান মাসে তারাবি নামাজও হতো। দীর্ঘ এক মাস যাবৎ মসজিদ বন্ধ থাকায় মেরিনের মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করি বলে মুসল্লিরা জানান।

জানতে চেয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা করোনা ভাইরাসের জন্য মসজিদটি বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান। কিন্তু নতুন ভবনের উপর নামাজের ব্যবস্থা আছে বলে জানান।

জানতে চেয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ) সার্কেল বিল্লাল হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নতুন ভবনে মসজিদটি হস্তান্তর করা হয়েছে যার জন্য নিচের মসজিদ আর থাকবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *