মোঃ জাকির হোসেন ক্রাইম রিপোর্টারঃ- করোনা সংক্রমণ বিস্তাররোধে খুলনার জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি ও মহামারীর বিস্তার রোধকল্পে আগামী ১৪ এপ্রিল ভোর ছয়টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত সার্বিক কার্যাবলি ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
নিদের্শনা অনুযায়ী সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ও সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং তৎসংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে। সকল প্রকার পরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে তবে পণ্য পরিবহণ, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না। শিল্প-কারখানাসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে এবং শ্রমিকদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া নিশ্চিত করবে। আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিসেবা যেমন-কৃষি উপকরণ, সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি এবং খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ¦ালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে। অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। তবে টিকা কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাবে। খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরা দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা এবং রাত ১২টা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত কেবল খাদ্য বিক্রয়-সরবরাহ (Takeaway/Online) করতে পারবে। শপিংমলসহ অন্যান্য দোকানসমূহ বন্ধ থাকবে। কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সকল নয়টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। এছাড়া বোরো ধান কাটার জরুরি প্রয়োজনে কৃষি শ্রমিক পরিবহনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন সমন্বয় করবে। নিদের্শনাসমূহ খুলনা জেলা ও মহানগরের সংশ্লিষ্ট সকলকে কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *