ইন্দ্রজিৎ টিকাদার,
বটিয়াঘাটা(খুলনা) প্রতিনিধি:

খুলনা’র বটিয়াঘাটায় কৃষকরা আম চাষের দিকে ঝুঁকছে। বিশেষ করে বারি ১১ জাতের আম ব্যাপক চাষ হচ্ছে। বারি ১১ জাতের আমের ফলন বারো মাস হয়ে থাকে। উক্ত জাতের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো একটি গাছে মুকুল, আমের গুটি ও কাঁচা পাকা আম বারো মাস ফলন হয়ে থাকে।

উপজেলায় এবছর প্রায় ১২০ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হচ্ছে। ইতিমধ্যে আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন আশা করছে কৃষক সহ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর। এব্যাপারে আমচাষি অসীম হালদার এ প্রতিবেদকে বলেন, আমরা আমচাষিরা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে বারি ১১ জাত সহ বিভিন্ন জাতের আম চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী বারি ১১ জাতের আমের চাষ করছি। উক্ত জাতের আম বারো মাস ভালো ফলন হচ্ছে।

আশা করছি এ বছর আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে আমরা কৃষকেরা আম মৌসুমে ভালো ফলনের পাশাপাশি লাভবান হবো। এব্যাপারে সুফলভোগী, স্বপন নার্সারির সত্ত্বাধিকারী স্বপন গোলদারকে এ প্রতিবেদককে বলেন, গত বছর আম মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘুর্ণিঝড় আমপানে আম ফসলের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

এতে করে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হন। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রবিউল ইসলাম’র কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদকে বলেন, আমরা কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে বারি ১১ জাত সহ বিভিন্ন জাতের আমের রোপণ ও পরিচর্যা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে কৃষকদের আম মৌসুমে লাভবান হতে পরামর্শ প্রদান করে আসছি।

বর্তমানে এ উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে ছোট—বড় মিলিয়ে প্রায় ১২০ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হচ্ছে। এখানকার মাটি বেঁলে-দোয়াশ যুক্ত এবং আম চাষের জন্য খুবই উপকারী । এছাড়া আম মৌসুমে চাষিদের লাভবান করতে আমাদের উপ—সহকারী কৃষি অফিসারবৃন্দ ফিল্ডে চাষিদের বাগান পরিদর্শন করেছেন এবং তাৎক্ষনিক করণীয় বিষয়কে পরামর্শ প্রদান করছেন।

বর্তমানে আম চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা আম চাষের দিকে ঝুঁকছে। আশা করছি এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকদের ভালো ফলনের পাশাপাশি লাভবান হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *