মোঃ শেখ শহীদুল্লাহ্ আল আজাদ. স্টাফ রিপোর্টারঃ

খুলনা মহানগরীর তিন থানা ও রূপসা উপজেলা এলাকায় এক সপ্তাহের কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। গতকাল ২জুন ২০২১ বুধবার দুপুরে খুলনা জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ দিকে উক্ত সভায় বলা হয়, খুলনা লকডাউন করার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে আগামী ৪ জুন থেকে রূপসা উপজেলা, খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা ও খালিশপুর থানা এলাকায় এক সপ্তাহ দোকানপাট বন্ধ রাখা হবে।

এর আগে বুধবার সকালে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির মতবিনিময় সভা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মোঃ কামাল হোসেন এবং খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। উক্ত আলোচনা সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, খুলনাতে সার্বিকভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণে জনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং জনসমাগমের স্থানসমূহ বিবেচনায় নিয়ে মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে করোনা সংক্রমণের আধিক্য বিবেচনায় রূপসা উপজেলা, খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা এবং খালিশপুর থানায় জরুরি সেবা ব্যতিত সকল দোকান, কাঁচাবাজার এবং জনসমাবেশের স্থান ৪ জুন থেকে আগামী এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। রূপসা উপজেলাসহ খুলনা মহানগরীতে সন্ধ্যার পর দোকানপাট বন্ধ রাখা, হোটেলগুলোতে লোকসমাগম নিয়ন্ত্রণ এবং যত্রতত্র একাধিক লোকের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ব্যবস্থা নেবে। এসময় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হবে, স্বাস্থ্যবিধি পালনে মনিটরিং জোরদার করা এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতে প্রচার-প্রচারণা চলমান থাকবে। উক্ত সভায় সিটি মেয়র বলেন, সার্বিকভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণে খুলনার স্বাস্থ্যবিভাগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

সন্ধ্যার পর একাধিক লোকের জনসমাগম বন্ধ করতে হবে। তিনি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সর্বক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার করার নির্দেশনা দেন। এক্ষেত্রে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে মসজিদের ইমামদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, রূপসা উপজেলাতে করোনা সংক্রমণের হার শতকরা ৪ দশমিক ১৮।

কিন্তু অন্যান্য উপজেলাতে এই হার শতকরা প্রায় এক ভাগ। এছাড়া খুলনা মহানগরীর সদরে সংক্রমণ হার শতকরা ৩৫% খালিশপুরে ২৫% এবং সোনাডাঙ্গাতে এই হার শতকরা ১৭% হারে বৃদ্ধি পাওয়ায়, উক্ত সভায় কেএমপির অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ রবিউল হাসান, মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইউসুপ আলী, সরকারি কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *