বিধান রায়,ঘাটাইল টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ঃ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মো. কাইয়ুম নামে এক যুবককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও তার বসতবাড়িতে হামলা করে লুটপাটও করার অভিযোগ রয়েছে।
গত ২১ এপ্রিল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউনিয়নের বিয়ারা গ্রামে এ ঘটনায় ঘটে।

এ ঘটনায় কাইয়ুমের স্ত্রী মোসা. এলিজা খাতুন বাদি হয়ে ঘাটাইল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার কাইয়ুমের চাচি লাইলী বেগম, চাচাতো বোন সানজিদা জাহানসহ ৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলার পর আতঙ্কে দিন পার করছে ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যরা।

মামলার অভিযুক্ত আসামীরা হচ্ছে, বেলদহ গ্রামের মৃত মো. আব্দুল গফুর খানের ছেলে মো. ইকবাল খান (৪৫), মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে সাব্বির (২৫), আব্দুর রহিমের ছেলে মো. কামাল হোসেন (২৪), দত্ত গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. জাহিদ (২৩), মো. শিপু মিয়ার ছেলে মো. শাকিল, মো. লাভলুর ছেলে রাকি (২০), বিয়ারা গ্রামের মৃত চান মাহমুদ মন্ডলের ছেলে মো. আলম (৩৫), মো. শহীদুল ইসলামের স্ত্রী লাইলী বেগম (৩৫), মেয়ে সানজিদা জাহান (১৮)।

মামলা ও আহত কাইয়ুম জানান, জমি সংক্রান্ত জের ধরে দীর্ঘদিন যাবত তার চাচা কুয়েত প্রবাসী শহিদুল ইসলামের সাথে বিরোধ চলে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় শহিদুল ইসলামের স্ত্রী লাইলী বেগম টাকার বিনিময়ে সন্ত্রাসী ভাড়া করে গত বছরও কাইয়ুমদের উপরে হামলা করে বেধরক মারধর করে।

তারই ধারাবাহিকতায় গত ২১ এপ্রিল বুধবার শহীদুল ইসলামের স্ত্রী লাইলী বেগম ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে কাইয়ুমদের উপর হামলা করে তাদের ঘর ভাংচুর করে। কাইয়ুম ও তার স্ত্রী বাধা প্রয়োগ করে তাদের উপর হামলা শুরু করে। তাদের বেধরক মারধর করে। এ ছাড়াও তাদের ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে তারা। পরে তাদের আত্মচিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

কাইয়ুমের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্নসহ তার বাম পা ভেঙ্গে গিয়েছে। বর্তমানে কাইয়ুম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় কাইয়ুমের স্ত্রী বাদি হয়ে ২২ এপ্রিল ঘাটাইল থানায় মামলা দায়ের করেন।
কাইয়ুম বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আমার চাচী লাইলী বেগম সন্ত্রাসী ভাড়া করে আমাদের মাঝে মাঝেই মারধর করে। প্রতিবাদ করলে আরো বেশি মারধর করে।

ইকবাল হোসেন এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তারা আমার পা ভেঙ্গে দিয়েছে। কিভাবে চলবো তা ভেবে পাচ্ছি না। মামলা করার পরও আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছি। এ ঘটনায় আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন বলেন, ‘ওই দিন তাদের বাড়িতে কোন মারামারি ঘটনা ঘটেনি। আমাদের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দেওয়া হয়েছে।’
ঘাটাইল থানার এসআই মতিউর রহমান বলেন, ‘মামলার পর অভিযান চালিয়ে এক আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *