এরশাদুল হক চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এক সালিশী বৈঠকে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে আহত হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান প্রকাশ এপিএস মান্নান।
মঙ্গলবার বিকাল ৫ টার দিকে কর্ণফুলীর জুলধা ৯নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতাকে উদ্ধার করে কলেজবাজারস্থ সাউথ চট্টগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন আগে শিকলবাহায় এক নারী সংক্রান্ত বিষয়ে জুলধা এলাকার কয়েকজন যুবকের সাথে তর্কবিতর্ক হয়। পরে এ বিষয়ে দুপক্ষের লোকজনের সাথে কথা বলে জুলধা এলাকায় বৈঠকে বসে সমাধানের চেষ্টা করেন লোকজন। শালিসী বৈঠকে উভয়পক্ষের তর্কবিতর্ক হলে এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের হামলার শিকার হন বৈঠকে থাকা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। এ সময় তাঁর মাথায় ও শরীরে প্রচন্ড আঘাত পান।
জুলধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এপিএস মান্নানকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। আমরা যাওয়ার আগেই । উনাকে মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। কেন কি কারণে মারধরের ঘটনা ঘটেছে তা খবর নিয়ে জানাতে পারব।
এই বিষয়ে জুলধা ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন (বাবু) বলেন, আসলে আমি শহরে আছি বিষয়টি এই মাত্র শুনছি ঘটনা পুরো জানতে ঘন্টাখানেক সময় লাগবে।
শাহমিরপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ অমিভাত দত্ত বলেন, মারামারির খবর শুনে ঘটনাস্থলে মোবাইল টিম পাঠিয়েছি এই পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি। পরে বিস্তারিত জানতে পারব।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী শাহমিরপুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসলে দুপক্ষের লোকজন আমাদের দেখে পালিয়ে যায়। এখনো ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারিনি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
মান্নানকে চিকিৎসা দেওয়া সাউথ চট্টগ্রাম হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার চন্দন দাশ বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনি আহত হয়েছেন। মাথায় ৮টি ও পিঠে ৩টি সেলাই হয়েছে। আমাদের সাধ্যমত চিকিৎসা দিয়েছি। রোগী এখন চলে গেছেন।
হাসপাতালে থাকাকালীন সময় আহত আ.লীগ নেতার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় কারা কি কারণে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে কিন্তু তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি। পরে মুঠোফোনে কল করলেও কোন মন্তব্য জানা যায়নি।