আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে সদ্য ঘোষণা করা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও ঝাড়ুমিছিল কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

বুধবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচী পালন করা হয়। এতে ছাত্রলীগের ৩ শতাধিক নেতাকর্মী বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেয়।

কর্মসূচীতে বক্তারা অভিযোগ করেন, গেল ৩ অক্টোবর ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের ঘোষণা করা কমিটিতে হরিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ পেয়েছেন জামায়াত-বিএনপি’র পরিবারের সন্তান সাদেকুল ইসলাম এবং হরিপুর থানায় হওয়া রাষ্ট্রদোহী মামলার আসামী শামীম রেজাকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। তাদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে রাজি নন তাঁরা।

৫নং হরিপুর সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি উজ্জল হাসান রাজবীর বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকার মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে এই কমিটি দিয়েছেন। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই হরিপুরের ছাত্রলীগ নেতারা ফুসে উঠেছেন। কমিটি বাতিলের দাবিতে সপ্তাহজুড়ে উপজেলাটিতে বিক্ষোভ, সংবাদ সম্মেলন. মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছে। কমিটি বাতিল করে নতুন ভাবে কমিটি ঘোষণা না করলেও আগামীতে আরও কর্মসূচী পালন করবেন বলে হুশিয়ারী দেন।

হরিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, মাঠে কাজ করা ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে কমিটিতে ঠাঁই হয়েছে বিএনপি-জামায়াত ও রাষ্ট্রোদোহের মামলার আসামীদের। এই কমিটি হরিপুর ছাত্রলীগের রাজনীতিকে বিপদের দিকে ঠেলে দিবে। দ্রুত কমিটি বাতিলের দাবি জানান তিনি।

কর্মসূচীতে হরিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও হরিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি উজ্জল হাসান রাজবীরের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানজিরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মহিদুর সরকার বাপ্পি, আরিফুর রহমান প্রধান, মো. ওমর, ওমর ফারুক লিটন, সবুজ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান, রাশেদুজ্জামান রনি, হরিপুর সদর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ স ম্পাদক মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।

জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, নিয়ম মেনেই যাচাই বাছাই করে কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছে। এই কমিটি বাতিলের সুযোগ নেই। তবে হরিপুরে এক শ্রেণির লোক রয়েছে তারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকেও মানে না, আমাদের মানবে কিভাবে? বিগত নির্বাচনগুলোতে নৌকা মার্কার প্রতিক বরাদ্দ পাওয়া প্রার্থীদের পরাজিত করতে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল। তারাই আজ এসব বিক্ষোভ ও অভিযোগ তুলছেনা। আমরা এগুলোকে পাত্তা দিচ্ছি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *