আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ে বর্তমানে অটোরিকশা ও অটোচার্জার চুরি-ছিনতাই এখন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। প্রতিদিনই কোন না কোন জায়গায় অটোচার্জার ইজিবাইক
ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল (৯ অক্টোবর) রাত ১১ টার পরে অটোচার্জার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ইজিবাইক চুরি সিন্ডিকেটের তিন সদস্যকে এলাকাবাসী হাতেনাতে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। তারা হলেন -(১) আইয়ুব আলী (৪৫), (২) দুলাল মিঞা (৩২), (৩) আজিমা বেগম ওরফে সাথী (৪০)। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি শিংপাড়া, সালান্দার, ঠাকুরগাঁও।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, অটোচালক আব্দুর রাজ্জাক(৩৭) যাত্রীর জন্য বড়মাঠের (জেলা স্কুল মাঠ) পূর্ব পাশে কোণায় অপেক্ষা করছিলেন, এসময় যাত্রীবেশে আইয়ুব ও সাথী চৌধুরীহাট নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করে। পরে ৩০০ টাকা ভাড়ায় আব্দুর রাজ্জাক যেতে সম্মত হোন। রাত ৯.০০ টার দিকে চৌধুরীহাট পৌঁছার পর মোবাইলে কল আসে তাদের জরুরি কাজের জন্য চন্ডীপুর যেতে হবে, তাদের উভয়ের জোড়াজুড়িতে অটোচালক সেখানে যেতে বাধ্য হোন। চন্ডীপুর লীলারহাট যাওয়ার পর দুলাল মিঞা সাথে তাদের দেখা হয়, পরে তিনজনে মিলে আখ ফার্মে নিয়ে হাত-পা বেঁধে অটোচার্জারটি দুইজন নিয়ে চলে যায় কিন্তু অপর জনকে ছুরি দিয়ে চালককে মেরে আখ ক্ষেতে রেখে মোটরসাইকেল করে চলে আসতে নির্দেশ দেয়।
অটোচালককে মারার সময় একজন পথচারী দেখে ফেললে দুলাল মিঞা পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসীর কাছে ধৃত হয়। পরে অপর দুইজন ছিনতাইকারীকেও গ্রামবাসী ধরে চন্ডীপুর হাইস্কুল মাঠে গাছের সাথে বেধে পুলিশকে খবর দেয়। পরে টহল পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন ছিনতাইকারীর দলকে ধরে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে অটোচালক বর্তমানে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার বাড়ি ছিট রহিমানপুর, ঠাকুরগাঁও।
এদিকে এ মামলার আই.ও এবং উদ্ধারকারী অফিসার(এস.আই) বিদ্যুৎ কুমার মজুমদার বলেন, আমরা রাতে টহলরত ছিলাম, পরে খবর পেয়ে তিনজন ছিনতাইকারীকে লীলারহাট থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। আজ বিকাল (১০ অক্টোবর) মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।