আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ে কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীকে (২২) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।

সোমবার নির্যাতিতা ওই ছাত্রী দুইজনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে মামলার আসামী মো: পলাশ ওরফে ইউসুফ আলী (৩৬) কে গ্রেফতার করে। সে সদর উপজেলার বেগুনবাড়ী ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, পৌরশহরের হাজীপাড়া (বৈশাখীমোড়) এলাকার বাসিন্দা ও বিএ প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীর সাথে কিছুদিন পূর্বে আসামীদের সাথে পরিচয় হয়। এ সময় বড় মাঠের দক্ষিণ দিকে শহীদ মিনারের পেছনে বড় বাড়ীর সম্মুখে (জনৈক ধলু ও মনা মিয়ার ভাইয়ের ভাড়া বাসা’য় নিজেদের কোচিং সেন্টার আছে বলে ওই ছাত্রীকে মোবাইল নাম্বারে দেয় আসামী সাখাওয়াত হোসেন (৩৫) ও মো: পলাশ ওরফে ইউসুফ আলী (৩৬)।

তারা ওই ছাত্রীর মোবাইল নাম্বারও নিয়ে তাকে তাদের কোচিংয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য জানিয়ে একদিন ফ্রি ট্রাইল ক্লাস করার জন্য আসতে বলে। তাদের কথামতে ওই ছাত্রী গত ১৫ আগস্ট সাখাওয়াত ও পলাশ নামক কোচিং সেন্টারে ক্লাস করতে যায়। ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাখাওয়াত কৌশলে ছাত্রীর সমাজকর্ম বইটি রেখে যেতে বললে সে বইটি রেখে যায়।

গত ৩১ আগস্ট বইটি ফেরত আনতে গেলে ওই ছাত্রী দেখতে পায় পলাশ কোচিংয়ে প্রবেশ পথে দাড়িয়ে আছে। সে ছাত্রীকে ভেতরে গিয়ে বইটি আনতে বললে সে ভেতরে প্রবেশের পর পরই সাখাওয়াত হোসেন দরজা লাগিয়ে দিয়ে ছাত্রীটিকে মুখে উড়না পেচিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এ সময় পলাশ বাহিরে পাহারায় থাকে। পরে সাখাওয়াতের ধর্ষনের পর সে বের হয়ে পলাশকে ভেতরে পাঠিয়ে বাহিরে পাহারায় থাকে। এ সময় জোরপূর্বক পলাশও ছাত্রীটিকে ধর্ষন করে ধর্ষনের বিষয়টি মোবাইলে ভিডিও ধারন করা রয়েছে বলে ভয়-ভীতি দেখায়। পরে বিষয়টি ওই ছাত্রীর পরিবার জানার পর সদর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। আসামী সাখাওয়াত হোসেন বেগুনবাড়ী ইউনিয়নের দানারহাট এলাকার ওসমান গনির ছেলে।

এদিকে মামলা সম্পর্কে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি (তদন্ত) আতিক হাসান মুঠোফোনে বলেন, উক্ত মামলার একজন আসামী ধরা হয়েছে, বাকী আসামী ধরার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং পাশাপাশি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *