আনোয়ার হোসেন আকাশ,নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করছে আক্রান্ত ব্যক্তিরা। ঠাকুরগাঁওয়ে গত শুক্রবার সর্বোচ্চ চার ব্যক্তি মারা গেছেন। এনিয়ে এক সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১০ জন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহে ৭৬৩ টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৬৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৪.৪৬ এর কিছুটা ওপরে। কিন্তু মে মাসের তুলনায় চলতি জুন মাসে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।

বিশেষ করে ৭ জুন থেকে প্রতিদিনই করোনা শনাক্তের রেকর্ড ভেঙেছে এ জেলায়। ৮ জুন ১০৬টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে শনাক্ত হয় ৩০ জন আক্রান্ত। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। ৯ জুন ১১৩টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ৩৯ জন করোনা শনাক্ত হয়। এদিন করোনা শনাক্তের হার ছিল ৩৪ দশমিক ৫১ শতাংশ।

১০জুন ১৩০টি নমুনা পরীক্ষা ফলাফলে ৪৩ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। ১১জুন ৪৬টি নমুনা পরীক্ষা ফলাফলে ২১ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ১২জুন ১৫০টি নমুনা পরীক্ষা ফলাফলে ৪৯ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এটি এই বছর এক দিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত।

১৩ জুন ১২৪টি নমুনা পরীক্ষা ফলাফলে ৪২ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ১৪ জুন ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা ফলাফলে ৪৩ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

করোনা সংক্রমণের আশঙ্কার মধ্যেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় সদর উপজেলায় লোকজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় লোকজনের চলাচল বন্ধ করতে পাহারা জোরদার করা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, শহর-গ্রামাঞ্চলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। করোনার সংক্রামণ প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থবিধি মানার বিকল্প নেই। তবু মানুষ সচেতন হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে চলাচল করার কারণেই সংক্রমণের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

জেলা প্রশাসক কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, মানুষকে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করায় প্রশাসন মাঠে আছে। এরপরও শনাক্তের হার না কমলে, বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *