আবদুল্লাহ আল নোমান চট্টগ্রামের

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সব্যসাচী নাথের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ এনে শাস্তি মূলক অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে পটিয়ার বিভিন্ন সংগঠন।

বুধবার (১৮ জানুয়ারী) বিকেলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মেয়র পুত্র মাহির ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পটিয়া উপজেলা গেইটের সামনে পটিয়ার সচেতন নাগরিক, শাপলা কুঁড়ির আসর, কুসুম কলি, বনরেখা শিশু কিশোর সংগঠন, ছাত্রলীগ, ব্যবসায়ী সমিতি সহ বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক আব্দুল আলিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম আবদুল মতিন চৌধুরী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার চৌধুরী মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন ফরিদ, কাউন্সিল শফিউল আলম, কাউন্সিলর গোফরান রানা, কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন, কাউন্সিলর সরওয়ার কামাল রাজীব, এটিএম শাহজাহান, সবুজ বড়ুয়া, রওশনগীর আমিরী, কামরুল হাসান বাবু, মনজুর আলম মনজু, শহীদুল ইসলাম জুলু।

পরিবারের পক্ষ থেকে ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে বক্তব্য রাখেন পটিয়া পৌর মেয়র মোঃ আইয়ুুব বাবুল। তিনি বলেন, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে দূর্নীতির আখড়া বানিয়ে রেখেছে ডাঃ সব্যসাচী নাথ। মেডিকেলে দায়িত্ব নেওয়ার পর নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দূর্নীতির বিষয়ে সব ডকুমেন্ট দিয়ে স্থানীয় হুইপকে অবহিত করার পর ও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। এই কর্মকর্তার নিজের কতৃত্ব স্থাপণ করে দিনের পর দিন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে কর্মকান্ড পরিচালনা করে চলেছেন। করোনার টিকা টাকা দিয়ে বিক্রি করেছে এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। অথচ আমার ছেলের জন্য বারবার ধরনা দিয়েও তার থেকে একটা টিকা আমার ছেলের জন্য নিতে পারিনি। এই কর্মকর্তার করা দূর্নীতির সকল ডকুমেন্ট আমি(মেয়র) স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে দিয়েছি। এখনো পর্যন্ত সে কীভাবে বহাল থাকে তা নিয়ে চরম উৎকন্ঠায় আছি।

মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দিনের পর দিন হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা পঙ্গু করে দিচ্ছে। তার অনিয়মের বিরুদ্ধে মেডিকেলের কোন কর্মকর্তা মুখ খুলতে চাইলেই তাকে বদলি করিয়ে দেন। করোনাকালীন সময়ে সেচ্ছাসেবীদের জন্য আসা অনুদান তার পকেটে পুড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে নিজের মত করে মেডিকেলকে পরিচালনা করছে। মেডিকেলে জন্য আসা বরাদ্ধেও অর্ধেক টাকা তার পকেটে যায়। বক্তারা বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে এই কর্মকর্তাকে শাস্তি মূলক অপসারণ করতে হবে। নইত পটিয়ার সর্বস্তরের মানুষ তার বিরুদ্ধে রাজপথে ধর্মঘট করবে।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শাপলা কুঁড়ি আসরের সভাপতি আবদুল করিম, সাধারণ সম্পাদক আরাফাত হোসেন, পৌরসভা শাপলা কুঁড়ি আসরের সভাপতি নাঈম উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান, সিনিয়র সহসভাপতি মীর এরশাদুর রহমান, আবু সাঈদ তালুকদার খোকন, তৌহিদুল ইসলাম, বাবর, জহিরুল ইসলাম, তানসিফ, ইমরান হাসান,সাইফুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম লিটন, আকাশ দে প্রমূখ। মানববন্ধন শেষে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা। এছাড়া মসজিদে দোয়া মাহফিল ও তবরুক বিতরণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *