আলিফ হোসেন, তানোরঃ
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা ডুবির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে আদর্শিক নেতাকর্মীরা নৌকা ডুবির আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে উঠেছে, হৃদয়ে হচ্ছে রক্তক্ষরণ, জনমনেও দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া বইছে মুখরুচোক নানা গুন্জন। আওয়ামী লীগ সরকারের যে উন্নযন ও অর্জন রয়েছে তাতে যে কোনো নির্বাচনে নৌকার পরাজয় কল্পনা করা যায় না। কিন্ত একশ্রেণীর নেতা এবং জনপ্রতিনিধি নিজেকে রাজা ও জনগণকে প্রজা মনে করছে।ফলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে এরা তেমন কোনো সম্পর্ক গড়ে তুলতে না পেরে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে আওয়ামী লীগের দখলে,তবে আসন্ন নির্বাচনে ৪টি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। চাঁন্দুড়িয়া ইউপিতে চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, বাঁধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান মসলেম উদ্দিন প্রামানিক আসন্ন নির্বাচনে বিজয়ী হবার দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে।কারণ এমপিবিরোধীরা এখানে প্রার্থী দিলেও শক্ত কোনো প্রার্থী দিতে পারছেন না। অন্যদিকে পাঁচন্দর ইউপি চেরম্যান আব্দুল মতিনের পক্ষে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, শরিফুল ইসলনম ও বিজেন কর্মকারের মতো শক্ত প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করে বিজয়ী হওয়া প্রায় অসম্ভব। আবার কলমা ইউপি, সরনজাই ও তালন্দ ইউপির অবস্থা আরো নাজুক, এসব এলাকায় আওয়ামী লীগ কয়েকভাগে বিভক্ত। এতে বিজয় তো পরের কথা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ঘর সামলানো অনেকটা কঠিন হবে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, ইতমধ্যে এমপির একচ্ছত্র আধিপত্যর অবসান ঘটাতে এমপিবিরোধী শিবির প্রতিটি ইউপিতে প্রার্থী দেবার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে তারা প্রার্থী দিলে নির্বাচনের ফলাফল যে অন্যরকম হবে এটা প্রায় নিশ্চিত। ইতমধো পৌরসভা নির্বাচনে তারা তাদের সেই সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে এসব বিবেচনায় চারটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের বিজয় অনেকটা অনিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে। এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও আওয়ামী লীগের দদায়িত্বশীল কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।#

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *