তানোর(রাজশাহী) প্রতিনিধি

রাজশাহীর তানোরে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে দই উৎপাদনের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, অধিকাংশক্ষেত্রে এসব দই উৎপাদনের প্রধান উপকরণ দুধ নিয়ে আশা হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত এলাকা থেকে। ফলে এসব দই খাওয়ায় করোনা ঝুঁকি বাড়ছে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এভাবে দই উৎপাদন ও বিপণন করা হচ্ছে। কিন্ত্ত রহস্যজনক কারণে স্বাস্থ্য বিভাগ, ভোক্তাধিকার বা উপজেলা প্রশাসন কেউ কখানো কোনো ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করছে না, এতে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে, দই নিয়ে আশা মানুষদের অবাধ চলাফেরা করোনা ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করছে সচেতন মহল।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার তালন্দ ইউপির দেউল গ্রামের তাপস, গৌতম ও রাজন বাড়িতে কারখানা করে দই উৎপাদন করছে, তারা বলেন, এসব কারখানার পরিবেশ ও দই তৈরী দেখলে টাকা তো দুরের কথা মাগনা কেউ খাবে না। গতকাল সরজমিন দেখা গেছে, কারখানায় কর্মরত কারীগরের গায়ের ঘাম গিয়ে পড়ছে দই তৈরীর উপকরণের ওপর, আবার কারখানায় বিড়াল ও মুরগী চলাচল করছে এবং দই রাখার পাত্র (মাটির তৈরী) বাইরে খোলা আকাশের নিচে অযত্ন-অবহেলায় ফেলে রাখা হয়েছে, সেখানে আবার কুকুরের অবাধ বিচরণ।স্থানীয় সচেতন মহল দই তৈরীর এসব কারখানা বন্ধ অথবা নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনার দাবি করেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে তাপস ও গৌতম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের সব কাগজপত্র রয়েছে, সারাদেশে যেভাবে সবাই ব্যবসা করছে,তারাও সেভাবে ব্যবসা করছেন। তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) বলেন, খুব দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *