তানোর(রাজশাহ)প্রতিনিধি

রাজশাহীর তানোরে সমাজ সেবা কার্যালয়ের ফিল্ড অফিসার (কলমা-কামারগাঁ) নুরতাজ আলীর দৌরাত্ম্য অসহায় সুবিধাভোগীরা অতিষ্ঠ হয়ে উটেছে। ভুক্তভোগীরা জানান, নগদ একাউন্টস খোলার দায়িত্ব বন্টনে অর্থ আদায়, বয়স্ক-বিধবা-প্রতিবন্ধীদের মোবাইল নম্বর দিয়ে অন্য মানুষের নম্বর দিয়ে
টাকা আত্মসাৎ, ৫০ টাকা মুল্যর সিমকার্ড ২০০ টাকা কিনতে বাধ্য করা ইত্যাদি নানা ভাবে সমাজের অবহেলিত মানুষের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।

এদিকে সমাজের অবহেলিত এসব মানুষের অর্থ আত্মসাতের খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃস্টি হয়েছে। এমন অমানবিক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃস্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেছেন সচেতন মহল।
উপজেলার কলমা ইউপির সেফালী(৫০), রহিমা(৫৫), সোনাভান (৫৩), জাহিরুন (৫০)ও গোল্লাপাড়া গ্রামের শ্রীমতি মিনা(৬০) বলেন,
নুরতাজ স্যার তাদের নম্বর না দিয়ে তার অনুগতদের নম্বর দিয়ে অসংখ্য মানুষের এক মাসের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং তাদের নতুন করে ২০০ টাকা মুল্যর সিমকার্ড কিনতে বাধ্য করেছেন। কলমা ইউপির চকরতিরাম গ্রামের সেফালি বলেন, তানোর যাতায়াত করতে ৮০ টাকা খরচ হয়, অথচ তিনি ৫ দিন ধরে সমাজ সেবা অফিসে যাতায়াত করছেন। অফিস থেকে বলা হচ্ছে যে টাকা চলে গেছে তা ফেরত পাবার সুযোগ নাই, নম্বর সংশোধন করে পরবর্তীতে যে টাকা আসবে সেটা পাওয়া যাবে। এখন প্রশ্ন হলো শত শত মানুষের লাখ লাখ টাকা কারা কি ভাবে হজম করলো সেটা অবশ্যই তদন্তের দাবি রাখে। এছাড়াও কলমা ও কামারগাঁ ইউপির উপকার ভোগীদের নগদ অ্যাকাউন্ট খোলার দায়িত্ব দিয়ে রণি নামের এক জনের কাছে থেকে ১৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে নুরতাজ বলেও অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের ফিল্ড অফিসার নুরতাজ অনিয়-দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে এসব উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, যেগুলোর মোবাইল নম্বর ভুল হয়েছে সেগুলোর টাকা পাবার কোনো সুযোগ নাই, সংশোধনের পর টাকা আসলে তারা টাকা পাবেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন খাঁন বলেন, এবিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *