সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ-
শিমরাইল মোড়ে ফুটপাতের চাঁদাবাজ আনোয়ার সিন্ডিকেটের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। চাঁদাবাজি বন্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও বন্ধ হচ্ছে না চাঁদা তোলা এমন টা অভিযোগ সাধারণ ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের।

ফুটপাত ব্যবসায়ি মোঃ শহিদুল বলেন,আমরা কী মানুষ না? আমাদেরকে সব সময় ভয়ে থাকতে হয়। আমাদেরকে চাঁদার দাবিতে প্রতিনিয়ত হুমকী-ধমকী দিচ্ছে ফুটপাতের চাঁদাবাজ মাদকসেবী আনোয়ার,তার চাচাতো ভাই হাজী বাদশা মিয়ার দুই ছেলে কবির, সুজন ও তাদের কালেকশন ম্যান একাধিক চাঁদাবাজি মামলার আসামী মিরাজ।

গত শনিবার ( ২৬ মার্চ) ফুটপাত ব্যবসায়ীদের ডেকে হাজী নেকবর আলী মার্কেটের আনোয়ারের আফিসের নিয়ে গালাগাল করে জোর পূর্বক হকারদের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার নিয়ে রাখে চাঁদাবাজ কবির, সুজন ও মিরাজ। এতে আতংকিত হয়ে পড়ে হকাররা।

প্রসাশনকে বৃদ্ধ আঙ্গুল দেখিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ব্যস্তাতম শিমরাইল মোড়ের ফুটপাত থেকে জোর পূর্বক চাঁদা আদায়কারী মাদকসেবী আনোয়ার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত (৫ মার্চ) রাতে চাঁদাবাজ আনোয়ার,মিরাজ ও বিরুদ্ধে ফুটপাতের হকারদের কাছ থেকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক চাঁদাবাজীর আভিযোগ এনে স্থানীয় নেকবর আলী সুপার মার্কেটের মালিক দেলোয়ার হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে কথা হলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হাফিজুর রহমান মানিক বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সুপারের কঠোর নির্দেশ, চাঁদাবাজির বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

থানায় দায়ের করা আভিযোগ থেকে জানা যায়, মাদকাসক্ত আনোয়ার তার সহযোগী হাজী বাদশা মিয়ার দুই ছেলে কবির,সুজন ও মিরাজ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ের হাজী নেকবর আলী সুপার মার্কেট ও কাসসাফ মার্কেটের সামনে ফুটপাত থেকে জোর পূর্বক দোকান প্রতি ২০০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করে আসছে।

এতে হাজী নেকবর আলী সুপার মার্কেটের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় মাদকাসক্ত আনোয়ার,তার সহযোগী কবির,সুজন ও মিরাজ নানা ধরণের হুমকী ধমকী দেওয়ার ফলে নেকবর আলী সুপার মার্কেটের মালিক দেলোয়ার হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ আভিযোগ দায়ের করেন।

শিমরাইল মোড়ের হকার কালাম হোসেন জানান,এখন ফুটপাত ব্যবসা করা দায় হয়ে পড়েছে। আমরা কয় টাকা ব্যবসা করি,প্রতিদিন কিন্তু চাদাঁবাজ আনোয়ার, কবির,সুজন মিরাজদের চাদাঁ দিতে হয়। তাদের চাঁদাবাজীর কারনে আমরা আতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি।

সরেজমিনে শুক্রবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় ফুটপাত ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাদাঁবাজ আনোয়ারের নেতৃত্ব সাইফুল,মিরাজ প্রতি দোকান থেকে চাদা উত্তলন করছে। এতে কিছু দোকানদার চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে এসময় আনোয়ার বলেন, আমি বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করতে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *