মোঃ মাসুদ রানা, রিপোর্টার
আজ সোমবার (২৯ মে) দুপুরে দিনাজপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় জনাকীর্ণ আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় এ আদেশ দেন।

এই হত্যা মামলার রায় হয়েছে দীর্ঘ ২৫ বছর ৯ মাস ২৬ দিন পর। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ শুকদেবপুর গ্রামের আফজাল হোসেন ও উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ এবং উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের কাচুয়া শাহ ওরয়ে মখা শাহর ছেলে শামশুল ওরফে শামসুল হক রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বাদী আরজিনা বেওয়া এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তার স্বামী তজিমুদ্দিন ১৯৯৭ সালের ৩১ জুলাই কারেন্টহাটে সামসুদ্দিনের মিলে পাহারা দেওয়ার জন্য যান। এরপর তিনি নিখোঁজ হন। ৩ আগস্ট বাড়ির অদুরে দামুদার পুকুরে তজিমুদ্দিনের মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় স্ত্রী আরজিনা বেওয়া ওই বছরের ৬ আগস্ট চিরিরবন্দর থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলায় সাত জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলার তদন্ত শেষে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দেয়। এরমধ্যে একজন আসামির মৃত্যুর কারণে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আসামি আব্দুল কাফির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাকে খালাস হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট হাসনে ইমাম নয়ন ও মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ পরিচালনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *