তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের আগাম হাওয়া বইছে।
ইতমধ্যে করোনা দুর্যোগে সম্ভাব্য প্রার্থীরা মানবিক-খাদ্য সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ ইত্যাদি কর্মকান্ডের মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থী হবার যোগ্যতা তুলে ধরে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছে। তবে এসব প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে থেকে তৃণমুলের পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক ,বিশিস্ট ব্যবসায়ী, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন, আদর্শিক ও তরুণ নেতৃত্ব বেলাল উদ্দিন সোহেল। জানা গেছে,
দেওপাড়া ইউপির মতো জায়গা থেকে বেলাল বা তার পরিবারের নেবার কিছু নাই, কারণ ৫ বছরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উন্নয়নের জন্য যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ হয়, তার ৫ গুন বেশী টাকা প্রতিবছর ব্যবসায়ী বেলাল সরকারকে রাজস্ব দেন, আর দান-অনুদান সেটা না হয় বাদ দিলাম।

দেওপাড়া ইউপির ভোটার প্রায় ৩০ হাজার, এই ৩০ হাজার ভোটারের এমন কেউ নাই, যেখানে বেলালের পা পড়েনি, আর গ্রামের মসজিদ, মাদরাসা, গীর্জা, মন্দির ও অসহায়দের সাহায্যে সহযোগীতা সেটা ৩০ হাজার ভোটারের সবাই জানেন। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে তাহলে তিনি ইউপি নির্বাচন করতে চাই কেনো, এটারও যুক্তিসঙ্গত কারণ আছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে চাইলে একটি রাজনৈতিক প্লাট ফরম প্রয়োজন হতে পারে সেটা কাউন্সিলর,মেম্বার, চেয়ারম্যান ও মেয়র ইত্যাদি। আর সেই প্রত্যাশা নিয়েই ইউপিবাসীর অনুরোধে মাঠে নেমেছেন। এবিষয়ে বেলাল উদ্দিন সোহেল বলেন, আল্লাহ তাকে যা দিয়েছেন তাতেই তিনি খুশি। তবে মানুষ তো মরণশীল কার কখন মৃত্যু হয় কেউ বলতে পারবেন না, তাই মৃত্যুর আগে সাধারণ মানুষের জন্য যদি কিছু করে যেতে না পারি তাহলে এই জীবন ও সম্পদের কি ফায়দা।

তিনি বলেন, স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর সহযোগীতায় তিনি দেওপাড়া ইউনিয়নের মানুষের জন্য এমন কিছু করে যেতে চান, মৃত্যুর পরে তার ভবিষৎ প্রজন্ম তাকে নিয়ে গর্ভবোধ করেন। এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হচ্ছে কে সেটা নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় উঠেছে যেখানে এগিয়ে রয়েছেন তরুণ নেতৃত্ব বেলাল উদ্দিন সোহেল।
স্থানীয়রা বলছে, প্রার্থীর আর্থিক অবস্থা, উন্নয়ন মানসিকতা, জনসমর্থন ও ভোটারদের মানসিকতা বিবেচনা করে প্রার্থী দেয়া হলে আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হচ্ছেন বেলাল উদ্দিন সোহেল এটা প্রায় নিশ্চিত। সম্প্রতি পালপুর স্কুল মাঠে স্বরণকালের সর্ববৃহত সমাবেশ বেলাল উদ্দিন সোহেলের জনপ্রিয়তার প্রমাণ দিয়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের
অভিমত, এসব বিবেচনায় সোহেলকে নৌকা প্রতিক দেয়া হলে তার বিজয় প্রায় নিশ্চিত।

দেওপাড়া ইউপির মধ্যান্চল থেকে প্রার্থী হবার দৌড়ে তিনিই একমাত্র নেতা, ফলে নির্বাচনের মাঠে অন্যদের থেকে তার সুবিধাও অনেক বেশী, সকলেই তাকে শক্ত প্রার্থী বিবেচনা করছে।
অন্যদিকে করোনা দুর্যোগে ঈদের আগে ও ঈদ পরবর্তী সময়ে ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান আকতারের দৃশ্যমান তেমন কোনো কর্মসুচি না থাকায় তাকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠেছে, দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। স্থানীয় সাংসদের সহায়তায় তিনি নৌকা প্রতিক নিয়ে তিন বার বিজয়ী হয়েছেন। কিন্ত্ত সাংসদের বিরোধীতা করে পৃথক বলয় গড়ার নামে দলীয়কোন্দল সৃস্টি, উন্নয়নে ব্যর্থ এবং করোনা দুর্যোগে ত্রাণ নিয়ে অনিয়ম ইত্যাদি কারণে অনেকটা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে চরম বিপাকে রয়েছে। এমনকি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এখন তার টিকে থাকায় অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে। তৃণমুলের ভাষ্য, ইতমধ্যে আওয়ামীলীগের অধিকাংশ
আদর্শিক, প্রবীণ-ত্যাগী ও নিবেদতপ্রাণ নেতাকর্মী তাকে ত্যাগ করেছে পাশাপাশি তৃণমুলের অধিকাংশ নেতা ও কর্মী-সমর্থকরাও তার উপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে,এতে চরম সঙ্কটে পড়েছে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বলে মনে করছেন তৃণমুল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *