বন্দর প্রতিনিধি
বন্দরে শীতলক্ষা নদীর তীরের মাটি রাতের আধারে বিক্রি করছে একটি সিন্ডিকেট। প্রতিদিন রাত ১০ টার পর থেকে বেকু দিয়ে মাটি ড্রাম ট্র্যাক যোগে বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় ১৬/১৮ শ’ টাকায় বিক্রি করছে।

রাতের আধারে শুরু ফজর নামাজের সময় তাদের মাটি বিক্রির মিশন শেষ হয়। প্রতি রাতে প্রায় ২শ’ গাড়ী মাটি করছে। সরজমিনে দেখেও প্রশাসনের সকল দপ্তর যেন নীরব ভূমিকা পালন করছে। অবৈধ মাটি বিক্রির সিন্ডিকেটর কালো টাকার কাছে সকল সেক্টর যেন অসহায়।

যদি সরকারি মাটি অপসারণের জন্য হয়, তাহলে এত উচ্চ দামে কেন এমনই প্রশ্ন সর্বত্র। নদী খনন বা সাইড দেয়া/ রাস্তার জন্য মাটি অপসারণ কাজে সরকারি বেকু রাতের আধারে কেন চলবে। মাটির গাড়ির উচ্চ শব্দে রাস্তার পাশে থাকা শত শত বাড়ির মালিক নির্ঘুম ভাবে রাত কাটাচ্ছে। সিন্ডিকেটের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। মাটি বিক্রির টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হলেও চলতো।

সরকারি মাটি, সরকারি বেকু ব্যবহার করে ফয়দা নিচ্ছে যৌথ ভাবে গঠিত ওই সিন্ডিকেটটি। নাসিকের কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক নেতা ও বি আই ডব্লিউ’র কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার পকেট ভারী হচ্ছে সরকারি টাকায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে বন্দরের চিতাশাল, কবরস্থান রোড, বন্দর বাজার, বারুইপারা, ছালেনগর, শাহী মসজিদ, ঝাউতলা, কলাবাগ, সাবদী, চৌধুরীবাড়ী, বাগবাড়ি-কুশিয়ারা ও ফরাজী কান্দা দেলোয়ার চেয়ারম্যানের নতুন পাম্পের পশ্চিম পাশে নতুন সংযোগ সড়ক এলাকা, কুশিয়ারাসহ ১০/১৫ টি এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *