এস এম গোলাম রাবিব নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার ২নং সাহতা বাজারে জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। লক-ডাউন শিথিল হওয়ার সাথে সাথে বারহাট্টা উপজেলায় ৫ টি অস্হায়ী পশুর হাট বসানোর অনুমোদন দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

এ উপলক্ষে (১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার )সাহতা বাজারে স্বাস্থ্য বিধি মেনে কোরবানির পশুর হাট বসানোর অনুমোদন দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।বারহাট্টার বিভিন্নস্থান থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পযর্ন্ত দেখা গেছে সাহতা বাজারে অনেক গরু ছাগল আসতে শুরু করেছে। স্থানীয়ভাবে বিক্রির পাশাপাশি বারহাট্টা উপজেলার এসব বাজারে গরু আসছে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ এবার নেত্রকোনায় অনলাইনে কোরবানি পশু বিক্রির ব্যবস্থা করেছে। ১১টি ওয়েব পেইজের মাধ্যমে কোরবানি পশু বিক্রির জন্য খামারিদের এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও নেত্রকোনা শহরে দুটি কোরবানি পশুর হাট বসিয়েছে নেত্রকোনা পৌরসভা। প্রত্যেক উপজেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে দু-একটি করে বড় হাট বসানো অনুমোদন দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

মাঝারি সাইজের এক একটি গরু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার এবং বড় সাইজের গরু বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ থেকে ৯০ হাজার টাকায়। গরুর পাশাপাশি এই হাটে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ছাগলও। একেকটি বড় আকারের খাসি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায়।

নেত্রকোনা শহরের বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানি পশুর হাট স্থাপন করেছে পৌরসভা।নেত্রকোনার বিভিন্ন উপজেলার দূরদূরান্ত থেকে গরু জেলা সদরে পশুর হাটে আসতে শুরু করেছে।নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টাসহ বিভিন্ন উপজেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির পশুর হাট পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইজারাদাররা।

জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের মতে, চলতি বছর নেত্রকোনার কোন খামারির কোরবানি পশু অবিক্রীত থাকবেনা বলে তারা আশাবাদী। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র সরবরাহ হচ্ছে কোরবানির পশু।

নেত্রকোনা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জানান, কোন ধরনের মোটা-তাজাকরণ ওষুধ ছাড়াই এসব গরু বনে স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠায় দেখতে বেশ হৃষ্টপুষ্ট। তাই সহজেই ক্রেতাদের মন কাড়ছে নেত্রকোনার কোরবানি পশুর হাটে ওঠা এসব গরু ছাগল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *