ফতুল্লার মাসদাইরে এক প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় একদল সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে আতংক সৃষ্টি করে একটি ভেকু নিয়ে এসে দিনভর বাড়ি ঘর ও দোকান পাট ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় ভোক্তভোগী মো. দুলাল ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ করলেও সারাদিন পুলিশ আসেনি। পরে সন্ধ্যায় দিকে সন্ত্রাসীরা বাড়িঘর ও দোকানপাটের মালামালা ট্রাকে করে তুলে নেয়ার সময় পুলিশ এসে মালামালসহ একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ম ১৩-৪৭২৬) জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) শেরে বাংলা লিংক রোড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

এ হামলায় ৬ দোকানের ২ লাখ ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয় এবং দোকানের ভিতরে থাকা ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার মালামাল ক্ষতি সাধিত হয়। এছাড়াও সন্ত্রাসীরা দোকানে থাকা নগদ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন দুলাল ।
এদিকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা নারীদের উপরও হামলা চালায়, মারধর করে। হামলায় আহতদের মধ্যে বিউটি বেগম, রিনা বেগম, জান্নাত, মাহেলা বেগম ও মুক্তির নাম জানা গেছে। এরা সকলেই স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাসদাইর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এদিকে এ ঘটনায় ভোক্তভোগী মো. দুলাল ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগে উল্লেখ করেন, মো. মতিউর রহমান প্রাধান (৬০) শাহাজালাল প্রধান (৫৩), সিরাজমিয়া (৫৮), নিজাম মুন্সি (৫২), মো, জেকি (৩০) ও মো, কাকন মিয়া (৬০) সহ ১০-১২ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা একটি ভেকু এনে ভেকু দিয়ে দুলল প্রধানের দখলে থাকা জায়গার ৬টি দোকান, বসত ঘড় ও একটি অটোগ্রেজ ভাংচুর করে মাটির সাথে গুড়িয়ে দেয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা দুলালসহ তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে।
দোকানদাররা জানায়, তাদের দোকানের ভিতরে থাকা সকল আসবাব পত্র ও দোকানের ক্যাশে থাকা নগদ অর্থ লুটপাট করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা।

ভোক্তভোগী মো. দুলাল জানান, সারাদিন কারো কোনো সহায়তা পাইনি। এর মধ্যেই সন্ত্রাসীরা আমার দোকান পাট বাড়ি-ঘড় সবকিছু ভংচুর করে লুটপাট করে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে সন্ত্রাসীরা দোকানের ভংচুর করা টিন ও মালামাল ট্রাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় ফতুল্লা থানার এসআই হুমায়ুন কবির আসেন। বর্তমানে আমি এবং আমার পরিবার নিরাপত্তা হীনতা ভুগছি,আমি এই সন্ত্রসী হামলার বিচার চাই।
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হুমায়ুন কবিরের কাছে এই ঘটনাটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা। বাদি এবং বিবাদি উভই উভয়ের বিরুদ্ধে মামলা করে আসছে অনেকদিন যাবত।
বাদির বিরুদ্ধে ওই মামলার ওয়ারেন্ট ও রয়েছে, থানাথেকে আমাকে ঘটনা স্থলে যাওয়ার র্নিদেশনা দেয়ায় আমি ঘটনা স্থলে যাই। গিয়ে দেখি ৬টি দোকান ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে ভেকু দিয়ে। আমি মালামালসহ একটি ট্রক থানায় নিয়ে আসি। আগামীকাল শুক্রবার বাদি-বিবাদি উভয়কে থানায় নিয়ে বসার র্নিদেশ দিয়েছে স্যার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *