মোঃ মাহিদুল হাসান মাহি নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-বগুড়া সদরের এরুলিয়া শিকারপুর বাঁশবাড়িয়া গ্রামে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিত ওই যুবক বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

নির্যাতনের শিকার সাদ্দাম হোসেন বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রীর সহকারীর কাজ করেন।

নির্যাতিত সাদ্দাম হোসেনের মা অভিযোগ করে বলেন, (১৬ জুন) বুধবার সকাল ০৯:০০ ঘটিকার সময় একই গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে আইনুল ইসলাম এর নেতৃত্বে, রঞ্জন, সালমা বেগম, ভোজোসহ বেশ। কয়েকজন দুষ্কৃতকারী সাদ্দামকে রাস্তা থেকে তুলে আইনুলের বাড়িতে আটকে রাখে। সকাল ৯টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত সাদ্দামকে হাত পা বেঁধে মধ্যযুগয়ীয় কায়দায় লোহার রড, পুরুষাঙ্গে বিদ্যুৎ এর শক দিয়ে অমানসিকভাবে নির্যাতন চালায়।

মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম করে। নির্যাতনের সময় সাদ্দাম অসুস্থ ও তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পানি পান করতে চাইলে, মানুষ নামের ওই হায়েনারা তাকে প্রসাব খাওয়ায় বলে সাদ্দাম অভিযোগ করেন।

ঘটনাটি লোকমুখে জানতে পেরে সাদ্দামের বিধবা মা জরিনা বেওয়া (৬৫) ও বোন রানু বেগম তাদের বাড়িতে গেলে তাদেরকেও মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় তারা।

কোন উপায় না পেয়ে জরিনা বেওয়া বিষয়টি বগুড়া সদর থানা পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঐদিন রাত ১০:০০ঘটিকার সময় সাদ্দামকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেয়।

ঘটনার পর থেকে দিন মজুর অসহায় সাদ্দামের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন।

এ ব্যাপারে নির্যাতিত সাদ্দামের মা বিচার দাবী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সেলিম রেজা জানান, ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে জানার পর সাদ্দামকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং দুষ্কৃতকারীদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *