নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করেছে জননেত্রী শেখ হাসিনা। ৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্যরা। শুধু বঙ্গবন্ধুকেই নয়, তিনটা পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর পরিবার শেখ মনির পরিবার শেখ সেরনিয়াবাতের পরিবার সহ ৫৫ জনকে ওই রাতে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে।

এমনভাবে হত্যা করা হয়েছে আপনারা সকলেই জানেন অন্তঃস্থার শেখ মনির বউ শেখ আরজু মনিকে, আজকে যিনি ঢাকার মেয়র তাপস কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি পরশ তার মাকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাকেও ব্রাশ ফায়ার করে মারা হয়েছে। নির্মম কি নিষ্ঠুর কি পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল সেই রাতে। সেই কথা কি আমাদের ভুলে যাওয়ার মতো ? আমরা কি শুধু আগস্ট মাসকে মনে করবো? বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে কোনদিনও এ ঋণ শোধ করতে পারবো না? ছাড় দেওয়া হয় নাই ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলকেও। বুধবার (৩১ আগষ্ট) নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৭ নং ওয়ার্ডের এম.ডব্লিউ স্কুলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিনা হায়াত আইভি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, আজকে অনেকেই অনেক বড় বড় কথা বলে। মানবাধিকার নাই। গুম করা হচ্ছে খুন করা হচ্ছে। আপনারা একবার চিন্তা করে দেখেন ৭৫ এরপর থেকে ৯৬ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসা আগ পর্যন্ত কিভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে, অত্যাচার করা হয়েছে জেল জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে। সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা জেলখানাতে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। এইভাবে অসংখ্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে গুম হত্যা করা হয়েছে। কোথায় ছিল তখন মানবাধিকার? কোথায় ছিল তখন সারা বিশ্ব? কথা তো বলেনি কেউ । কেন এভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে? তার ছোট্ট শিশু ছেলে আট বছরের শেখ রাসেল কে হত্যা করা হলো? তখন তো মানবাধিকার নিয়ে কথা বলা হয়নি।

তাহলে এখন কেনো? যখন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যখন বাংলাদেশ উন্নয়নের মাইল ফলকে এগিয়ে যাচ্ছে সারা পৃথিবীতে। তখন কেনো এতো বাধা বিপত্তি। এখন আর বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে চিনে না। শেখ হাসিনার উন্নয়নের বাংলাদেশ হিসেবে চিনে। সেইখানে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াবার জন্য আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নেতায় নেতায় ঝগড়া চলুক। কিন্তু আমি আমার কর্মীদের বলতে চাই যারা মনেপ্রাণে আওয়ামী লীগকে ভালবাসেন শেখ মুজিবকে যারা ভালোবাসেন তারা কোন বিরোধে জড়াবেন না।

তারা সব সময় যেখানে শেখ হাসিনা যেখানে বঙ্গবন্ধু যেখানে নৌকা সেখানেই যাবেন। সেটা হোক শামীম ওসমানের জনসভা সেটা হোক আইভীর সমাবেশ। আপনারা আসল নেতৃত্ব কে পছন্দ করে নিবেন। নৌকা যেখানে থাকবে শেখ হাসিনা যেখানে থাকবে আপনারাও সেইখানেই থাকবেন। এমন কোন কাজ আপনারা কর্মীরা করবেন না যাতে পরে আপনাদের পালিয়ে যেতে হয়। একে অন্যের বিরুদ্ধে না বলে আসুন এখনো সময় আছে ঐক্যবদ্ধের রাজনীতি করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *