বন্দর প্রতিনিধি:
চোরের দলের সন্ত্রাসী হামলায় বন্দরে সিকদার আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের দারোয়ান গাজীউর (৩৫) ও নৈশ প্রহরী লাল চাঁন মিয়া (৭০) রক্তাক্ত জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওই সময় হামলাকারিরা উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে সহকারি প্রধান শিক্ষকের অফিস রুম থেকে আটককৃত চোর পাপ্পু (২২)কে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

রোববার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় বন্দর শাহীমসজিদস্থ সিকদার আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে। স্কুল কতর্ৃপক্ষ আহত দারোয়ান ও নৈশ প্রহরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে।

এ ঘটনায় আহত দারোয়ান গাজীউর মিয়া বাদী হয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ওই দিন দুপুরে চোরের দলের হোতা পাপ্পু, ইমন, মাহবুব,হৃদয় ও জুম্মানসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ১২ বছর যাবত বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের আন্দিরপাড় এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে গাজীউর মিয়া বন্দর শাহীমসজিদস্থ সিকদার আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ে দারোয়ান হিসেবে কর্মরত রয়েছে।

রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় সময় বন্দর নূরবাগ এলাকার নূরা মিয়ার ছেলে পাপ্পু বন্দর দত্তবাড়ি এলাকার স্বপন মিয়ার ছেলে ইমন একই এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে মাহবুব ও নূরবাগ এলাকার হৃদয় ও জুম্মানসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন চোর দিন দুপুরে চুরি করার উদ্দেশ্যে উল্লেখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পুরাতন ভবনের স্টোর রুমের কাঠের জানালার গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে সেখানে রক্ষিত পানির পাম্প,লোহার এঙ্গেল, সিলিং ফ্যান ও বৈদুতিক তারসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যাওয়া সময় নৈশ্য প্রহরী লাল চাঁন মিয়ার নজরে পরে। এ ঘটনায় লাল চাঁন মিয়া স্কুলের দারোয়ান গাজীউরকে জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পাপ্পু নামে এক চোরকে হাতে নাতে আটক করলে বাকি চোরের দল কৌশলে পালিয়ে যায়।

পরে নৈশ্য প্রহরী ও দারোয়ান কতর্ৃক আটককৃত চোর পাপ্পুকে স্কুলের অফিস রুমে নিয়ে আসে। চুরি ঘটনার ওই দিন সাড়ে ১০টায় পালিয়ে যাওয়া চোরের দল পুনরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে সহকারি প্রধান শিক্ষকের সামনে স্কুলের নৈশ্য প্রহরী লাল চাঁন মিয়া ও দারোয়ন গাজীউরকে লোহার রড ও লোহার এঙ্গেল দিয়ে বেদম ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে আটককৃত চোর পাপ্পুকে ছিনিয়ে নেয়।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *