বন্দর সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ বন্দরে ২৬ বছর পার হয়ে গেলেও স্ত্রী সন্তানেরা পিতার অধিকার থেকে বঞ্চিতের ঘটনায় থানায় অভিযোগ। পুলিশ প্রশাসন থেকে জনপ্রতিনিধি, নিকট আত্মীয় থেকে সমাজের গন্যমান্য ব্যাক্তি সকলের দুয়ারে তাদের অধিকার পাইয়ে দিতে সহযোগিতা চাইলেও কেউ তা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেনা।
ঘটনাটি ঘটেছে বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন গকুলদাসের বাগ এলাকায়। থানা অভিযোগ সূত্রমতে, গকুলদাসের বাগ এলাকার মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিনের সাথে বটতলা এলাকার মৃত সাদেক হোসেনের মেয়ে মাহিনুর আক্তার শামছুনের সাথে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে এক মেয়ে ও দুই ছেলে জন্ম গ্রহন করে। আলাউদ্দিন এর পূর্বেও আরেকটি বিয়ে করে। সেই সংসারে তার একটি কন্য সন্তান হয়। আলাউদ্দিন মিয়া দ্বিতীয় স্ত্রী রেখে পুনরায় তৃতীয় বিয়ে করে।
তৃতীয় সংসারে ও দুই ছেলে এক মেয়ে জন্ম নেয়। বিধিবাম আলাউদ্দিন তৃতীয় বিয়ে করার পর থেকেই দ্বিতীয় স্ত্রী মাহিনুর আক্তার শামছুনকে অত্যচার নির্যাতন করতে থাকে। এমনকি দ্বিতীয় স্ত্রীর তিন সন্তান সহ তাকে বাড়ি থেকে বাহির করে দেন। ফলে মাহিনুর তার সন্তানদের নিয়ে গার্মেন্টস, বাসাবাড়ি, বিদেশ ও মাদ্রাসায় কাজ করে বড় করে তোলেন। এদিকে বড় ছেলে শামিম (৩৫) বিয়ে করে দুই সন্তানের পিতা ও ছোট ছেলে নাজিম (৩০) বিয়ে করে এক সন্তানের জনক হলেও মেয়ে পারুল(৩৮) দুই সন্তানের মাতা। কিন্তু তাদের কাউকেই পিতার পরিচয়ে স্বীকৃতি দিচ্ছেনা পিতা আলাউদ্দিন।
মা মাহিনুর আক্তার শামছুন সোনারগাও বাড়ি মজলিস একটি মাদ্রাসায় রান্নাবান্নার কাজ করলেও ছেলেরা দিন মজুরি কাজ করে। মা ও সন্তানেরা অন্যের বাড়িতে ভাড়াটিয়া থেকে বসবাস করছে। অথচ তৃতীয় স্ত্রীর কথায় দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার তিন সন্তানদের পিতৃ পরিচয়তো দেয়াতো দূরের কথা বরং তাদের বাড়িঘর থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে। ফলে তাদের মাথা গুজার ঠাই পর্যন্ত হচ্ছে না। এমনকি তৃতীয় পক্ষের স্ত্রীর সন্তানেরা তাদের মেরে ফেলার চক্রান্ত করে যাচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তাদের পিতা আলাউদ্দিনকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্ত তিনি তার সম্পত্তি ও পিতার পরিচয় দিতে নারাজ।
প্রতিবেশী শিল্পপতি আনোয়ার বলেন, পিতা আলাউদ্দিন তৃতীয় বউয়ের কথা ছাড়া নড়ে না। তাই আমরা এলাকাবাসী বুঝানোর পর ও কোন বুঝই মানে না।
থানা অফসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে সামাজিকভাবে পিতা আলাউদ্দিনকে বুঝিয়ে তাদের অধিকার বুঁজিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো।