বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরের জিওধরায় মাহাবুব(৪০)কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনার অন্যতম আসামী বাদশা প্রধান(৩৬)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র্যাব-১১। গত বুধবার ( ১৬ অক্টোবর) বিকেলে তার নিজ বাড়ির সামনে থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত বাদশা প্রধান বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের জিওধরা গ্রামের আলতাফ প্রধানের ছেলে। বৃহস্পতিবার ( ১৭ অক্টোবর) সকালেই তাকে ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।যার নং ১৮(৯)২৪ইং। এদিকে আহত মাহবুবের অবস্থার কিছুটা উন্নতি ঘটলেও এখনো আশংকা মুক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন আহতের মা হাসিনা প্রকাশ মহিতুন বেগম।
সূত্র মতে,বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের মৃত বীরমুক্তিযোদ্ধা মোতালেব হোসেনের ছেলে মাহাবুব হোসেনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী জিওধরা গ্রামের মৃত জমির প্রধানের ছেলে আলতাফ প্রধান,তার পুত্র দীন ইসলাম,আতাউর,মানিক,সাদ্দাম,বাদশা গংয়ের দীর্ঘ দিন ধরে সামাজিকসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধা সাড়ে ৬টায় মাহাবুব জিওধরা চৌরাস্তা হয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে রিফাতের ফ্ল্যাক্সিলোডের দোকানে পৌঁছামাত্র পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আলতাফ প্রধানের নির্দেশে তার ছেলে দীন ইসলাম,আতাউর,মানিক,সাদ্দাম,বাদশা ও এমদাদ মিয়ার ছেলে সজিবসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন চাইনীজ কুড়াল,রামদা,চাপাতি ও লোহার রড নিয়ে তার গতিরোধ করে।
এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগে উল্লখিতরা মাহাবুবকে দফায় দফায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত ভেবে চলে যায়। পরে স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে রাজধানীর রাজারবাগ জিকে হসপিটালের আইসিউতে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় প্রথমে আহত মাহাবুবের মাতা হাসিনা প্রকাশ মহিতুন বেগম বাদী হয়ে ৮জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।