বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরে ১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে জমির ওয়ারিশগনকে পিটিয়ে নগদ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬নং আমলী আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

গত রোববার (১৪ মে) ভূক্তভোগী ওয়ারিশ মোস্তাক আহম্মেদ ভূলু বাদী হয়ে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভাপতি হাজী সুমন প্রধানসহ আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত ৩০ এপ্রিল দুপুর আড়াইটায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের তরতরিয়া মৌজা এলাকায় ওই চাঁদাদাবি ঘটনাটি ঘটে। যার মামলা নং- ৩২(৫)২৩ ধারা- ৩২৩/৩৭৯/ ৩৮৫/ ৫০৬ পেনাল কোড-১৮৬০।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ঘারমোড়া সরদার বাড়ি এলাকার মৃত শফি উদ্দিন সরদারের ছেলে মোস্তাক আহাম্মেদ ভুলু ও তার অন্যান্য ওয়ারিশগন তরতরিয়া মৌজার আর.এস.২২৪ দাগে ৪৫ শতাংশ সম্পত্তি মালিক ও দখলদার নিয়ত হইয়া নিজেদের নামে আর.এস. মোতাবেকনামজারী জমাভাগ করাইয়া সরকারকেখাজনাদি পরিশোধ করে শান্তিপূর্ন ভাবে ভোগ দখল করে আসছে।

বর্তমানে উক্ত সম্পত্তি ভরাট করার জন্য ওয়ারিশ মোস্তাক আহাম্মেদ ভুলু ভেকু লাগিয়ে চারদিকে পাড় বাধিয়া মাটি ভরাটের কাজ শুরু করে। এ ঘটনায় গত ৩০ এপ্রিল দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বুরুন্দী এলাকার মোস্তফা মিয়ার ছেলে ৭নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভাপতিপ হাজী সুমন প্রধানসহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জন সন্ত্রাসী উল্লেখিত সম্পত্তি ওয়ারিশ মোস্তাক আহাম্মেদ ভুলু নিকট ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

ওই মোস্তাক আহাম্মেদ চাঁদা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে ওই সময় উল্লেখিত চাঁদাবাজ হাজী সুমন প্রধানসহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জন চাঁদাবাজ ক্ষিপ্ত হয়ে মোস্তাক আহাম্মেদ ভুলকে বেদম ভাবে পিটিয়ে নগদ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় উল্লেখিত ওয়ারিশ মোস্তাক আহাম্মেদ ভুলু বন্দর থানায় মামলা করতে গেলে বন্দর থানা পুলিশ থানায় মামলা না নিয়ে ভূক্তভোগীকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। পরে বিজ্ঞ আদালতে নির্দেশে গত রোববার জাপানেতা হাজী সুমন প্রধানের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করা হয় ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *