তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বাকশিমইল ইউনিয়নে (ইউপি) কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চ্যর সৃস্টি হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরে কাজের বিনিময়ে টাকা
(কাবিটা) প্রকল্পের তৃতীয় ধাপে ইউপির মিরপুর পাকা রাস্তা হইতে নতুন পুকুর পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার কাজের বিপরীতে প্রায় ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়, এবং চলতি বছরের ৭ জুন কাজ সম্পন্ন করার কথা বলা হয়। এদিকে কাজ শুরুর সময়ে প্রকল্পের অর্থের উৎস্য ও বরাদ্দের পরিমাণ ইত্যাদি তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড লাগানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও সেখানে কোনো সাইনবোর্ড লাগানো হয়নি। এতে প্রকল্প এলাকার অধিবাসীরা এই বিষয়ে কিছুই জানতে পারেনি। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস ছাত্তার ও রবিউল ইসলাম বলেন, তারা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদুক) ও রাজশাহী জেলা প্রশাসকের(ডিসি) জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রকল্প সভাপিত ও ইউপি সদস্য ঈমান আলী অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোথাও এক কোদাল মাটি না কেটেই আগের প্রস্তুতকৃত রাস্তা দেখিয়ে ইতমধ্যে বরাদ্দের ৫ লাখ টাকার অর্ধেক উত্তোলন করে নিয়েছেন।
এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃস্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়, কেউ কেউ প্রকল্প সভাপতির দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিও করেছে। সম্প্রতি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বিপুল কুমার মালাকার সরেজমিন প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে জনসাধারণের উপস্থিতিতে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য ও প্রকল্প সভাপতি ঈমান আলী বলেন, এসব ভিত্তিহীন প্রকল্পের কাজ এখানো চলমান রয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বিপুর কুমার মালাকার বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, বিধি মোতাবেক প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য
কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *