নিজস্ব সংবাদদাতা:
সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শুভ উদ্বোধন করেন- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে. এম. খালিদ।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারী) বেলা বিকালে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন হয়।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব মোঃ আবুল মনসুর’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ মঞ্জুরুল হাফিজ, নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার “ক” সার্কেলের মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, নারায়ণগঞ্জ-৩ এর সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার, সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদ এলাহী ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সোনারগাঁও উপজেলা কমান্ড ওসমান গণি।

সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন- বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহ।

প্রতিমন্ত্রী কে. এম. খালিদ এমপি উদ্বোধনকালে বলেন- এই লোকজ উৎসব আমাদের সংস্কৃতির অংশ। সংস্কৃতিকে তুলে ধরে এই মেলা। বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্য ফুটে উঠে মেলায়।

সোনারগাঁও এর ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে সেই সাথে দেশ সহ বিশ্বে প্রচার তুলে ধরতে মাস ব্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হয়। বিশ্বে পর্যটন নগরী হিসেবে তুলে ধরতে নতুন বাজেট বরাদ্দ করে নবরুপে নান্দনিক সৌন্দর্যে সোনারগাঁও এর লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনকে সাজানো হবে বলে উপস্থিত অতিথিগণ সকলেই বক্তব্যে তুলে ধরেন।

এবারের মেলার আকর্ষণ গ্রামীণ লোকজ সংস্কৃতির অন্যতম মাধ্যম ‘ভালোবাসার তামা-কাঁসা-পিতল শিল্পের’ বিশেষ প্রদর্শনী। ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চল থেকে ৬০ জন কারুশিল্পী মেলায় প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছেন। তাদের জন্য ৩০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঝিনাইদহ ও মাগুরার শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাঁড়ি, চট্রগ্রামের নকশিপাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁও এর হাতি ঘোড়া পুতুল ও কাঠের কারুশিল্প, নকশিকাঁথা, নকশি হাতপাখা, মুন্সিগঞ্জের শীতলপাটি, মানিকগঞ্জের তামা-কাঁসা পিতলের কারুশিল্প, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারুপণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরা কোটা শিল্প, সোনারগাঁও এর পাটের কারুশিল্প, নাটোরের শোলার মুখোশ শিল্প, মুন্সিগঞ্জের পট চিত্র, ঢাকার কাগজের হস্তশিল্প সহ বেশ কিছু স্টল থাকছে মেলায়।

এছাড়াও লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে প্রতিদিনই থাকছে- দর্শনার্থীদেও জন্য মঞ্চে বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালী গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভান্ডারী, মুর্শিদী গান, ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *