আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)থেকে:
কঠোর বিধিনিষেধের ৯ম দিনে ঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈলে ব্যক্তিগত গাড়ি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পরিবহন অনেকটা নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। নেই শুধু গণপরিবহনের উপস্থিতি।
এছাড়া মানুষের উপস্থিতিও রয়েছে চোখে পড়ার মতো। পুলিশ চেকপোস্টগুলোতে তল্লাশি কার্যক্রম চলছে ঢিলেঢালাভাবে।
শুক্রবার (৯ জুলাই)উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
তবে গত কয়েক দিনের তুলনায় সড়কে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। অবাধে চলছে ব্যক্তিগত গাড়ি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস। অনেকে অটোরিকশায় চড়ে নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। আবার কেউ চলছেন পায়ে হেঁটেই।
শহরের একটি এটিএম বুথে কর্মরত আবুল হাসান জানান, গত দুই-তিনদিন ধরেই রাস্তায় প্রাইভেট কার, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে। রাস্তায় মানুষের উপস্থিতিও অনেক বেশি। শুরুতে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশা এতো বেশি ছিল না।
উপজেলার কয়েকটি পুলিশের চেকপোস্টে দেখা যায়, গাড়ি ছাড়া হচ্ছে একটি একটি করে। দেখলে মনে হবে স্বাভাবিক দিনের যানজট।
কিন্তু চেকপোস্ট ছাড়িয়ে সামনের সড়ক ফাঁকা। পুলিশ প্রাইভেট কার দেখছে কিন্তু আটকাচ্ছে না। কিন্তু মোটরসাইকেল দেখলেই থামিয়ে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
এছাড়া রিকশা আর প্রাইভেট কার ছাড়া সড়কে চোখে পড়েছে মালবাহী পিকআপ ভ্যানের। মাঝেমধ্যে চলছে অ্যাম্বুলেন্স। আর রাস্তার দুই পাশে খাবারের দোকান ছাড়া বাকি সবকিছু বন্ধ।
কিছু বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অটোরিকশার ছড়াছড়ি। তবে যাত্রী রয়েছে কম।
শিবদীঘি এলাকার অটোরিকশাচালক সাব্বির বলেন, ‘গত কয়েক দিনের থেইকা আইজকা ভালোই লোকজন দেখতাছি। আইজকা ভাড়াও ভালো পাইছি। সকাল থেইকা দুপুর পর্যন্ত আমি রাস্তায় আছি। মানুষের কী দোষ? হ্যারা তো কামের লাইগাই বাইরায়।’
থানা পরিদর্শক (ওসি)এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, আমরা সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে কিছু লোক অযথা ঘোরাঘুরি করছে। তবে সচেতন লোকেরা ঠিকই নাগরিক দায়িত্ব পালন করে আমাদের সহযোগিতা করছে। তারা নিজেরাও বাড়িতে থাকছে এবং অন্যকেও বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহাবুর রহমান বলেন, মানুষকে সচেতন করতে প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। প্রত্যেকদিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষকে থামানো যাচ্ছে না। মানুষ একটু সচেতন হলেই করোনা সংক্রমণ দ্রুত কমে আসবে বলে আশা করছি।