71bangladesh.com

নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন শীতলক্ষ্যা নদী হতে ফারদিন নূর পরশ (২৪) নামে বুয়েটে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর লাশ নৌ পুলিশ উদ্ধার করেছে। তার শরীর ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে ময়নাতদন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন- ফারদিন’র মাথায় ও বুকে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা ধারণা করছি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার ভিসেরা টেস্টের পর বিস্তারিত তথ্য জানতে পারব।

এদিকে ফারদিন নূর পরশ’র লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার বন্ধু ও এক বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তার বান্ধবী একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। চার বছর ধরে তাদের মধ্যে যোগাযোগ। গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন ফারদিন।

ফারদিন নিখোঁজের ঘটনায় তার বাবার করা জিডি তদন্তে যুক্ত থাকা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন- ঘটনার দিন বিকেলে পরশ রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় তার বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করেন। সেখান থেকে রিকশায় করে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় যান। ও-ই বান্ধবীর ভাষ্যমতে, টিএসসি থেকে তারা রিকশায় রামপুরা আসেন। তবে পুলিশ ওইদিন ফারদিন’র রামপুরা আসার কোনো তথ্য পায়নি।

উল্লেখ্য, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বনানী ঘাট থেকে ফারদিন’র লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ফারদিন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি বুয়েট ডিবেটিং ক্লাবের যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় ছিলেন ফারদিন। ফারদিন’র বাবা কাজী নূর উদ্দিন বিজনেস পত্রিকা দ্য রিভারাইন এর সম্পাদক ও প্রকাশক। ফারদিন’র মা ফারহানা ইয়াসমিন গৃহিণী। তাদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলায়।

কাজী নূর উদ্দিন বলেন- গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে ফারদিন’র মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। তার সর্বশেষ অবস্থান ছিল রামপুরা থানা এলাকায়। কোথাও তার খোঁজ না পেয়ে ও-ই থানায় গত শনিবার একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করা হয়। নৌ পুলিশের ফোন পেয়ে নারায়ণগঞ্জে গিয়ে ফারদিন’র লাশ শনাক্ত করি।

নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন- লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *