ডেস্ক রিপোর্টঃ
সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে আর কয়েক মাস পরেই। তারই ধারাবাহিকতায় নাঃগঞ্জ সোনারগাঁয়েও ১০ ইউনিয়নে হবে নির্বাচন। নির্বাচনকে উপলক্ষ করে এবার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ তে প্রকাশ্য দিবালোকে বিভিন্ন সেন্টার দখল করার মহানায়ক কাজী লিটু ওরফে ভোট ডাকাত কাজী লিটু। মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে জানা যায়, যে কাজী লিটু জাতীয় নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে দিবালোকে, ৬ টি সেন্টার দখল করে সিল মেরে ভোটবাক্স ভরেছেন। তার নেতৃত্বে কয়েকশ যুবক দেশী-বিদেশী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাঁশি বাজিয়ে বাজিয়ে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাইকারটেক সেন্টার, পাঁচ পীরের দরগাহ্ সেন্টার, কালিগন্জ সেন্টার, সোনা খালি সেন্টার রহমতপুর সেন্টার একে একে দখলে নিয়ে ভোটারদের মারধর করে বেড় করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে নিজে এবং তার দলবল সেন্টারগুলিতে থাক সকল ব্যালট পেপার সিল মেরে ভোট বাক্স ভর্তি করেন। এবং সিল মারা শেষে সে নিজে ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনাদের ভোট হয়ে গেছে। আপনারা বাড়িতে গিয়ে আরাম করেন। জাতীয় নির্বাচনের পর তাকে জনগণ ভোট ডাকাত বলে সম্মোধন করতো, যদিও ক্ষমতাশালী হওয়ায় প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতো না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বৃদ্ধ বলেন, আমার জীবনেও আমি এমনে ভোট ডাকাতি করতে দেহি নাই, ঐ পোলায় বাঁশি বাজাইয়া বাজাইয়া আতংক ছড়াইয়া সব ভোট দিয়া দিছে।

তার ব্যাপারে আরো অনুসন্ধানে জানাজায়, তার পরিবারের একাধিক সদস্য বিএনপির রাজনীতি করলেও লিয়াকত হোসেন খোকা এমপির হাত ধরে জাতীয় ছাত্র সমাজয়ের রাজনীতি শুরু করে পরবর্তীতে ২০০১ সালে চারদলীয়জোট ক্ষমতায় এলে কিছুদিন আত্মগোপনে থেকে ২০০৩ সালে দল পরিবর্তন করে তার বন্ধু আবুল কাওসার আশার হাত ধরে ছাত্র দলে যোগদান করেন ১ /১১ ফখরুদ্দিন সরকারের পর আওয়ামিলীগ সরকার ক্ষমতায় এলে পাড়ি দেন ইটালি। দশম সংসদ নির্বাচনে তার গুরু লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি হলে দেশে ফিরে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে পুনরায় যোগ দিয়ে ক্ষমতার দাপটে এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়ে রাতারাতি টাকার পাহাড় গড়েছে এই লিটু । নারায়ণগঞ্জ শহরের রাজনীতি ছেড়ে এখন সে সোনারগাঁয়ের রাজনৈতিক মাঠ নিজের কব্জায় নিয়েছেন, এবং চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্নও দেখতেও শুরু করছেন ইতিমধ্যে সে পুরোদমে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন চষে বেড়াচ্ছে আর জনগণের নিকট ভোট প্রার্থনা করছেন। তাই সাধারণ জনগণ এখন রঙ্গ রসিক করে বলে বেড়াচ্ছে ভোট ডাকাত ভোট চায়, এইবার বুঝি রক্ষা নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *