আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কুখ্যাত আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর আব্দুর রাজ্জাককে (৪২) ফের গ্রেফতার করেছে হরিপুর থানা পুলিশ।

মোটরসাইকেল চুরি করে পালানোর সময় আব্দুর রাজ্জাককে আটক করেন স্থানীয় জনতা।পরে হরিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল চোর আব্দুর রাজ্জাককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

বুধবার রাতে আব্দুল আউয়াল নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে হরিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ৷

হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকরতা তাজুল ইসলাম আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটক রাজ্জাক রাণীশংকৈল পৌরশহরের ভান্ডারা গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে ও রানীশংকৈল পৌর কাউন্সিলর। আজ বৃহস্পতিবার তাকে ঠাকুরগাঁও আদালতে হাজির করা হয়।

পুলিশ ও মামলার বাদী সূত্রে জানা যায়, বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে হরিপুরের চৌরঙ্গী বাজার সংলগ্ন দারুল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ ও এতিমখানা’র সৌজন্যে ইসলামিক ওয়াজ মাহফিল চলাকালিন সময়ে মোটরসাইকেল চুরি করে পালানোর সময় আব্দুর রাজ্জাককে আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে হরিপুর থানা পুলিশের এস আই আবু ঈশা ও এস আই রাকিবুল ইসলাম রাকিব কাছে সোর্পোদ করা হয়।

হরিপুর থানা পরিদর্শক (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন আব্দুর রাজ্জাক আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরের মূল হোতা বলে স্বীকার করেছেন এবং সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন থানায় ৪৩টি মামলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে চোর রাজ্জাককে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য………
চলতি বছরের ১ জুন মঙ্গলবার রাতে তার নিজ বাড়ি পৌর শহরের ভান্ডারা খুনিয়াদিঘী সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

পরেরদিন বুধবার তাকে ঠাকুরগাঁও আদালতে হাজির করা হয়।

গত ১৯ মার্চ গভীর রাতে দেশি অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ৮ লাখ ৭৫ হাজার নগদ টাকাসহ মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ সময় সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী জাহেদুল ইসলাম ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিলে এলাকাবাসী সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে তাদের ধাওয়া করলে বাড়ির পাশের ভুট্টা ক্ষেত দিয়ে পালিয়ে যায়।

পরের দিন সকালে জাহেদুল ইসলাম হরিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

হরিপুর উপজেলার আমগাঁও ইউনিয়নের নন্দগাঁও গ্রামের মৃত আকিম উদ্দীনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম একজন সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী।

অভিযোগের সূত্র ধরে থানা পুলিশ তদন্তে জন্য ঘটনাস্থল যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। ওই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই ঘটনার সাথে জড়িতদের চি‎হ্নিত করা হয়।

চলতি বছরের ১ জুন মঙ্গলবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাজ্জাককে গ্রেফতার করে। এছাড়াও এ মামলার তদন্ত চলাকালীন রাজ্জাক বাদেও আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আনোয়ার হোসেন, আল আমিন, রনি, আব্দুল হাকিম, সাহাবুদ্দিন ও নওশাদ।

সম্প্রতি সেই মামলার জামিনে বের হয়ে আবারো মোটরসাইকেল চুরি করতে গিয়ে ধরা খেলেন রানীশংকৈল পৌর কাউন্সিল আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরের মূলহোতা আব্দুর রাজ্জাক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *