মোঃ শাকিল আহমেদ।

ঢাকার অদূরে সাভারের রানা প্লাজা ধসে পড়ার আট বছর পূর্তিতে নিহতের স্বজন, আহত শ্রমিকসহ অনেকেই শ্রদ্ধা নিবেদন করলেও এবার একটু ভিন্নতা এনেছে গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ নামের একটি শ্রমিক সংগঠন।
এই সংগঠনের নেতাদের উদ্যেগে রানা প্লাজার ১ হাজার ১৩৮ জন নিহত শ্রমিকের ১ হাজার ১৩৮টি গোলাপ ফুল দিয়ে তৈরি একটি পুষ্পার্ঘ তৈরি করে। ২৪ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে রানা প্লাজার নিহত শ্রমিকদের অস্থায়ী বেদিতে সেই পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।
এর আগে সকাল থেকে রানা প্লাজার সামনে আসতে শুরু করে নিহত শ্রমিকদের স্বজন, আহত শ্রমিকরা, শ্রমিক সংগঠনগুলো ও প্রশাসন।
হারিযে যাওয়া পরিবারের সদস্যকে স্মরণ করে। রানা প্লাজার সামনে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় অনেক স্বজনকে। পাশাপাশি সহকর্মীদের শ্রদ্ধা জানাতে এসে অনেক আহত ও পঙ্গু শ্রমিকও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন, গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সাভার-আশুলিয়া-ধামাইয় উপদেষ্টা, লাভলী ইয়াসমিন, কামরুন নাহার, মরিয়ম আক্তার শিউলী,। আহবায়ক রফিকুল ইসলাম সুজন , যুগ্ন আহ্বায়ক শামীম খান , আব্বাস উদ্দিন, সায়েম শিকদার ,সদস্য সচিব অরবিন্দু বেপারী বিন্দু, যুগ্ম সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলাম সহাগ, আনিসুর রহমান, , মোঃ শাকিল আহমেদ, ইসমাইল হোসেন ঠান্ডু, কবির হোসেন, সবেদা সরকার, মোহাম্মদ লালন, মেহেদী হাসান, আলহাজ্ব মাসুদ পারভেজ, দেলোয়ার হোসেন মোহাম্মদ নাঈম সহ উক্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ পুষ্প অর্পণ শেষে নেতারা ,বলেন, রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক নিহত হয়েছে এবং ২ হাজার ৪৩৮ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। সেই নিহত শ্রমিকদের শ্রদ্ধা জনাতে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ১ হাজার ১৩৮ টি গোলাপ ফুল অস্থায়ী বেদীতে পুষ্পাঞ্জলির মাধ্যমে দিয়েছি। এছাড়া তাদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়েছে। সেই সাথে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, রানা সহ সকল মালিকদের সর্বোচ্চো শাস্তি নিশ্চিত, আজকের এই দিনটি জাতীয় শোক দিবস ঘোষনা, রানা প্লাজার জমিটুকুতে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা এবং শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আমরা সাবাই বলি যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। আসলে শ্রমিকদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। যা দেওয়া হয়েছে তা হচ্ছে অনুদান। তাই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *