মোহাম্মদ এরশাদুল হক লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় শারদীয় দূর্গাপুজা-২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০ সেপ্টেম্বর সকালে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পনাষদ সভাকক্ষে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) শরীফ উল্যাহ।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান(ভারপ্রাপ্ত) এম ইব্রাহীম কবির।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লোহাগাড়া থানার ওসি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য প.প.কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ হানিফ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম,উপজেলা প্রকল্প ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও) মুহাম্মদ মাহবুব আলম শাওন ভুঁইয়া, বড়হাতিয়া ইউপির চেয়ারম্যান, দক্ষিণ জেলা অাওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক বিজয় কুমার বড়ুয়া, পদুয়া ইউপির চেয়ারম্যান মুুহাম্মদ হারুনুর রশিদ প্রকাশ আর্মি হারুন, আমিরাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান এসএম ইউনুচ, কলাউজান ইউপির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুুহাম্মদ আকরাম হোসেন, উপজেলা আনসার ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জেবুন্নেছা, চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি লোহাগাড়ার ডিজিএম মুহাম্মদ শাহজাহান,লোহাগাড়া উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বাবু নিবাস দাশ সাগর,শিক্ষক নেতা ও সনাতনী সম্প্রদায়ের নেতা বাবু সুনীল কুমার চৌধুরী,কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য রিটু দাশ বাবলু, দক্ষিণ জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য,লোহাগাড়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি, সনাতনী সম্প্রদায়ের নেতা, দানবীর ডাঃ রিটন দাশ, লোহাগাড়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রসেনজিৎ পাল, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার নরেন দাশ, চুনতি ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মুুহাম্মদ ইয়াছিন মাঝি, আধুনগর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন,লোহাগাড়া প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক, সনাতনী সম্প্রদায়ের নেতা সাংবাদিক খোকন সুশীল।

প্রস্তুতিমূলক সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আমিরাবাদ ইউপির সাবেক মেম্বার মৃণাল কান্তি মিলন,বড়হাতিয়া ইউপির সাবেক মেম্বার সুনীল সরকার, বর্তমান মেম্বার মুহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক,পুটিবিলা ইউপির মেম্বার মুুহাম্মদ আবদুল কাদের,সনাতনী সম্প্রদায়ের নেতা,মনুফকিরহাট বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাশ,সহ-সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সুজন কান্তি নাথ, কাঞ্চন আচার্যসহ পূজামন্ডপের সকল সভাপতি-সম্পাদকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

লোহাগাড়া থানার ওসি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেছেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে উদ্যাপনের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে লোহাগাড়া থানা পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করবে। পূজামন্ডপে কোন প্রকার ডিজে চালানো যাবেনা। আযানের সময় পূজামন্ডপ বন্ধে মাইক বন্ধ থাকবে। গতানুগতিক পদ্ধতির পাশাপাশি বিট পুলিশিং কার্যক্রম ত্বরান্বিতকরণ ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করণের মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নসহ সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখাতে জেলা পুলিশ বদ্ধপরিকর। পুলিশের টিম পাশাপাশি আনসার বাহিনীর সদস্যরাও কাজ করবে। পূজামন্ডপে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তা কঠোরভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সভাপতির বক্তব্যে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) শরীফ উল্যাহ বলেছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব আসন্ন দুর্গাপূজা প্রতিবছরের ন্যায় লোহাগাড়ায় নির্বিঘ্নে ও সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন সবর্দা আন্তরিক ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। এবারে লোহাগাড়ার বিভিন্ন এলাকায় ১০৮টি মন্ডপে পূজা উদযাপন করা হবে। মাঠপর্যায়ে সকলের সাথে সমন্বয় করে একটি শক্তিশালী সামাজিক সুরক্ষা বলয় তৈরির মধ্য দিয়ে লোহাগাড়ায় উৎসবমুখরভাবে শারদ উৎসব উদযাপিত হবে। এই বছর প্রতিটি মন্দিরে স্থায়ীভাবে আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে তারপরেও মন্দিরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কোনরুপ প্রতিকূল পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয় সে বিষয়ে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে। ফায়ার সার্ভিসের টিম পূজামন্ডপ শুরু হওয়ার পুর্বে পরিদর্শন করার নির্দেশনা রয়েছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি যাতে বিনষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্যে রাখতে হবে। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে পূজা মন্ডপে সিসিটিভির আওতার আনার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খোলা বাতি ও মোমবাতি ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। অপরিকল্পিত ভাবে কোন প্রকার আলোকসজ্জা করা যাবেনা। ভোরবেলায় পূজামন্ডপের নেতৃবৃন্দদেরকে সবোর্চ্চ সতর্ক থাকতে হবে। দুস্কৃতকারীরা মাথা ছড়া দিতে পারে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান(ভারপ্রাপ্ত) এম ইব্রাহীম কবির বলেছেন,সনাতনী সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা।লোহাগাড়ার বিভিন্ন এলাকায় পূজামন্ডপগুলোতে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগীতা থাকবে। আমরা সমাজবদ্ধ জাতি। সবার সাথে সমন্বয় করতে হবে। অপসংস্কৃতি ব্যক্তিদের কোন ধর্মে বিশ্বাস করেনা। ডিজে যন্ত্র সমাজের ক্ষতিকর যন্ত্র। এগুলো ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ। আমাদের সমাজে সবার সাথে বন্ধুত্ব রয়েছে। শান্তিপ্রিয় জনগণকে শান্তিতে রাখতে চাই। অপরাধী,দুস্কৃতকারীদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা।কোন ধরণের গুজরে কান দিবেননা। ফেইসবুকে কোন পোস্ট দেখলে শেয়ার করবেন না। প্রয়োজনে আইন সংস্থা কারীদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *