মোহাম্মদ এরশাদুল হক লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ‘সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা’ আগামী ৩০ অক্টোবর শনিবার বেলা সাড়ে ৩টায় দেশে দুর্গাপূজার উৎসবের মাঝে এবং পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে শান্তি ও সম্প্রীতি শোভাযাত্রা একসাথে অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ৩০ অক্টোবরের শান্তি ও সম্প্রীতি সমাবেশ শোভাযাত্রা সফল করতে লোহাগাড়ায় এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

২৬ অক্টোবর বেলা ৩টার দিকে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে এ প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মুহাম্মদ আহসান হাবীব জিতু ।

সম্প্রীতির সমাবেশে মুসলিম ,হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, সকল শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থাকবেন।

প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ,লোহাগাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন হিরু, অর্থ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান মুজিব,

নাজমুল হক মিন্টু,লোহাগাড়া প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ,উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব মামুনুর রশিদ চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মিয়া মুহাম্মদ শাহজাহান বিন আবদুল আজিজ,

লোহাগাড়া প্রেস দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ রায়হান সিকদার,উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রসেনজিৎ পাল,সাধারণ সম্পাদক মাস্টার নরেন দাশ, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতা মাস্টার গোপাল কান্তি বড়ুয়া, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মাস্টার সলিল কান্তি বড়ুয়া, তুষার কান্তি বড়ুয়া, মুহাম্মদ রাশেদুল হক।

প্রস্তুতি সভায় ইউএনও মুহাম্মদ আহসান হাবীব জিতু বলেন,বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।অসম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মেলবন্ধন জাতীয় ঐক্যের অপরিহার্য উপাদান।বাংলাদেশের জনগণের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করাকে তারা টার্গেট হিসেবে বেছে নিয়েছে।

সবার অভিন্ন উচ্চারণ কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ।ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর (রা.)-এর সময় এদেশে মুসলমানদের আগমন। বিভিন্ন সময়ে সুফি সাধকরা এসে ইসলামের সুমহান শান্তির বাণী প্রচার শুরু করেছেন। তাদের অসাম্প্রদায়িক আচরণ মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসায় আকৃষ্ট হয়ে এ দেশের মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে।

এদেশে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ পাশাপাশি বাস করছে শত শত বছর ধরে। সেই হাজার বছরের সম্প্রীতি মতলববাজদের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় বিনষ্ট হতে পারে না।কোনো বিবেকবান মানুষ অন্য ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত আনতে পারে না। মানবতার শত্রু বিভেদকামী শক্তির বিরুদ্ধে সব পক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশের অগ্রগতির স্বার্থে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের ষড়যন্ত্র রুখতে হবে বলেও তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *